বিলুপ্ত প্রযোজক কমিটি

সুপ্রভাত ডেস্ক :
বেশ কিছু দিন ধরেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরুর মধ্যে প্রকাশ্যে বিরোধ বিরাজ করছিল। তারই জের ধরে সংগঠনবিরোধী কাজের অভিযোগ তুলে গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রযোজক সমিতি স্থগিত করে জায়েদ খানের সদস্যপদ। এরপরই সেই সমিতির বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন এই নায়ক। খবর বাংলাট্রিবিউনের।
জানান, সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরুসহ চার জন প্রযোজক নেতা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বিধিবহির্ভূতভাবে তথ্য গোপন করে নির্বাচন করেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবার প্রযোজক সমিতির বর্তমান কমিটিকেই বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, সমিতিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উপ-সচিবকে প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বিষয়টি নিয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘টানা তিনবার নির্বাচনের পর এক বছর এবং টানা ছয় বছর নির্বাচন করলে পরের দুই বছর এতে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু খোরশেদ আলম খসরুসহ চার জন এই বিরতি দেননি। বিষয়টি আমি লিখিতভাবে জানাই। এবং প্রযোজক হিসেবে আমার পদের স্থগিতাদেশের বিষয়টিও উল্লেখ করি। তাই মন্ত্রণালয় এটি নিয়ে তদন্ত করে তাদের নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি আমার সদস্যপদটিও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি জানান, গত ১ নভেম্বর বিএফডিসিতে তদন্ত কমিটির সদস্যরা বসেছিলেন। তারপরই বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বিধিবহির্ভূতভাবে তথ্য গোপন করে গত বছরের ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে (২০১৯-২০২১) অংশ নেন অভিযুক্তরা। তারা হলেন, খোরশেদ আলম খসরু, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, মনতাজুর রহমান আকবর ও সদ্য প্রয়াত শরীফ উদ্দিন খান দিপু।
পাশাপাশি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব খন্দকার নূরুল হককে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একইসাথে ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে ওই প্রজ্ঞাপনে।
আরেকটি প্রজ্ঞাপনে চিত্রনায়ক ও জেডকে মুভিজের কর্ণধার জায়েদ খানের পদ অবৈধভাবে স্থগিত করে রেখেছিল বলে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। জায়েদ খানকে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালানো ও তার অভিনয়ে যেন বাধা না দেওয়া হয়, এমন নির্দেশনাও জারি করা হয়।
এদিকে এই প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে এখনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি খোরশেদ আলম খসরুর। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তিনি তার মুঠোফোন ধরেননি।