আরসা প্রধানসহ ৮ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা

লাগানো হয়েছে পোস্টার

নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ »

কক্সবাজার টেকনাফের নেচার পার্ক ক্যাম্পের আশেপাশে এলাকায় ৮ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে পোস্টার লাগানো হয়েছে। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিসহ ৮ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে পোস্টার লাগানো হয়েছে। সচেতন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ব্যানারে এসব পোস্টার লাগানো হয়।

গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে টেকনাফের দমমিয়া নেচার পার্কসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ধরনের পোস্টার দেখতে পান অনেকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা ১৬-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জামাল পাশা।

তিনি বলেন, ‘ওসব পোস্টার বিভিন্ন ক্যাম্পে দেওয়া হয়েছে। তবে তা আমরা প্রকাশ করিনি। পোস্টারে থাকা ব্যক্তিরা আরসা সন্ত্রাসী। আমরা তাদের আটকের চেষ্টা করছি। ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থানে আমাদের নজরদারি রয়েছে। গোয়েন্দা তৎপরতাও রয়েছে। তাদের দেখা গেছে, এমন খবর পাওয়া মাত্রই গ্রেফতার করা হবে।’

পোস্টারে থাকা সন্ত্রাসীরা হলেন আরকান রোহিঙ্গা স্যালভ্যাশন আর্মির প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি, মাওলানা আকিজ, শামসু উদ্দিন, মৌলভী মোস্তাক আহমেদ, রহমত উল্লাহ মুসা, নুর কামাল ওরফে সমি উদ্দিন, ওস্তাদ খালেদ ও মৌলভী মোস্তাক আহমেদ।

নেচার পার্ক, লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, যে পোস্টার লাগানো হয়েছে তাতে বার্মিজ ভাষায় লেখা ছিল, ‘তারা সন্ত্রাসী’। এ মানুষগুলোকে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান। যদি কোনও ক্যাম্পে কেউ তাদের দেখতে পায় তাহলে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করার জন্য বলা হলো। ক্যাম্পে কেউ তাদের দেখলে তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে পাঁচ লাখ এবং ধরিয়ে দিলে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে’।

স্থানীয় রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, ২৭ এপ্রিল বিকাল থেকে বিভিন্ন ক্যাম্পের ব্লকে ব্লকে এ ধরনের পোস্টার দেখেছি। এমনকি শুক্রবার সকালের দিকে একই পোস্টার বেশি লাগানো হয়েছে। যেখানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরেও এসেছে।’

নেচার পার্ক ক্যাম্পের বাসিন্দা আমান উল্লাহ বলেন, ‘পোস্টারে যাদের ছবি আছে, তারা সবাই আরসা সন্ত্রাসী। বিশেষ করে তারা উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তাদের গ্রেফতার করতে পারলে ক্যাম্পে শান্তি ফিরবে। আমরাও চেষ্টা করছি, তাদের ধরিয়ে দিতে। ক্যাম্পের অর্ধেক অপরাধ এদের মাধ্যমে চলে। বিভিন্ন সময় মহড়া দেখেছি তাদের।’