১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড : একটি গভীর ষড়যন্ত্রের ফল

আবদুল মান্নান  »

বিশ্বের ইতিহাসে রাজনৈতিক হত্যাকা- বা সন্ত্রাসের মাধ্যমে সরকার উৎখাতের ইতিহাস নতুন কোনো বিষয় নয়। কিন্তু একটি দেশের জন্মদাতা,  যিনি জাতির পিতা হিসেবে পরিচিত, তাঁকে সপরিবারে তাঁরই বিশ্বস্ত কিছু মানুষ এক গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করার ইতিহাস বিরল। এই বিরল ইতিহাসটি সৃষ্টি করেছিল এ দেশেরই কিছু ঘাতক ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নিজ বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। ঘটনাচক্রে বেঁচে গিয়েছিলেন বিদেশে অবস্থানরত তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। একটি স্বাধীন দেশের জন্মদাতাকে হত্যা করা মানে সেই দেশটিকে হত্যা করা, সেই দেশের ইতিহাসকে হত্যা করা; যা পঁচাত্তরের ঘাতকেরা চেষ্টা করেছিল। প্রায় সাতচল্লিশ বছর পর বলতে হয়, যেহেতু বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শ ও অনুভূতির নাম, সেহেতু ঘাতকেরা তাদের সেই লক্ষপূরণে সফল হয়নি। কারণ আদর্শ ও অনুভূতিকে কখনো হত্যা করা যায় না। আজ বাংলাদেশ তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে এক অনন্য উচ্চতায়, পিতা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন কন্যার হাত ধরে বাংলাদেশে সেই লক্ষের অনেকটাই পূরণ করেছে।

পনের আগস্টের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড তাৎক্ষণিকভাবে ঘটে যাওয়া কোনো বিষয় ছিল না। এটি ছিল একটি দীর্ঘ পরিকল্পনার মর্মান্তিক সমাপ্তি। এই ষড়যন্ত্রের প্রথম অঙ্ক রচিত হয় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কলকাতায়। তখন প্রবাসী সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন খোন্দকার মোশতাক আহমদ। সরকারের একটি গুরত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকলেও তিনি চাননি পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টি হোক। তিনি ছাড়াও সরকারের ভিতর আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন যারা একই ধারণা পোষণ করতেন। এদের  মধ্যে ছিলেন মোশতাকের সচিব মাহবুব উল আলম চাষী এবং তাহের উদ্দিন ঠাকুরসহ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত কয়েকজন গণপরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য।

জেনারেল জিয়া যদিও ঘটনাচক্রে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনিও পাকিস্তানে বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর কথায় পরে আসছি। মুক্তিযুদ্ধ যখন তুঙ্গে, সেপ্টেম্বর মাসে মোশতাক কলকাতায় অবস্থিত মার্কিন কনসাল জেনারেল জর্জ গ্রিফিনের কাছে কুমিল্লা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য জহিরুল কাইউমকে পাঠান একটি বার্তা দিয়ে। বার্তাটি হচ্ছে, তারা যদি ইয়াহিয়া খানের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন, বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে দেওয়া হয়, তাহলে তিনি মুক্তিযুদ্ধ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য প্রবাসী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের পররাষ্ট্রসচিব হেনরি কিসিঞ্জার তাঁর আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ ‘দি হোয়াইট ইয়ার্স’-এ তা উল্লেখ করেছেন, গ্রিফিন মোশতাকের বার্তাকে সন্দেহের চোখে দেখেন। কারণ তিনি প্রবাসী সরকারের অজান্তে এই কাজটি করেছিলেন। তবে মোশতাককে মার্কিনীরা সবসময় তাঁদের একজন মনে করতো এবং তাঁর সঙ্গে সবসময় সুসম্পর্ক বজায় রাখতো।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মূল পরিকল্পনাটা করা হয় ঢাকা সেনানিবাসে; যার মূল নায়ক ছিলেন খোন্দকার মোশতাকের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় কর্নেল (বরখাস্ত) খোন্দকার আবদুর রশিদ, মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম ও কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান। এরা মুক্তিযুদ্ধের একবারে শেষ সময় অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে এসে প্রবাসী সরকারের সঙ্গে যোগ দেন এবং সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ তাঁদেরকে যুদ্ধফ্রন্টে না পাঠিয়ে দাপ্তরিক কাজে নিয়োজিত করেন। ঢাকা সেনানিবাসে তাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হয়েছিলেন সেনাবাহিনীর উপপ্রধান জেনারেল জিয়া। এই পদটি বঙ্গবন্ধু জিয়ার জন্য সৃষ্টি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু জিয়াকে পূত্রবৎ স্নেহ করতেন। বেগম জিয়াকে বলতেন তাঁর তৃতীয় কন্যা। ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসে কর্নেল রশিদ ও কর্নেল ফারুক রহমান জিয়ার সঙ্গে একাধিকবার দেখা করে বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা জানান। জবাবে জিয়া তাঁদের জানান, তাঁদের পরিকল্পনার প্রতি তাঁর সমর্থন রয়েছে, তবে তিনি একজন সিনিয়র অফিসার হিসেবে সরাসরি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অংশ নিতে পারবেন না। প্রজাতন্ত্রের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে জিয়ার উচিত ছিল বিষয়টি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো; যা তিনি করেননি। ঘটনার কয়েকমাস আগে জিয়াকে পূর্ব জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে তিনি কয়েকজন সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতার সহায়তায় তাঁর এই পদায়ন বাতিল করাতে সক্ষম হন। এ সময়ে দেশে একটি গুজব তৈরি করা হয় যে, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণের খাদ্যশস্য ভারতে পাচার  হচ্ছে। ভারতে খাদ্যপাচার বিষয়টি যেন সত্য না হয় তার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের এপ্রিল থেকে সীমান্তে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেন, যার দায়িত্বে ছিলেন জেনারেল জিয়া। এ সময় বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের উপপ্রধান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত ঘনিষ্ঠ ড. নুরুল ইসলাম। ড. ইসলাম তাঁর গধশরহম ড়ভ ধ ঘধঃরড়হ-ইধহমষধফবংয গ্রন্থে লিখেছেন, ১৯৭৪ সালের জুলাই মাসে জিয়া একদিন তাঁর অফিসে এসে অভিযোগ করেন যে, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণের খাদ্যশস্য ভারতে চলে যাচ্ছে। জিয়ার পরিসংখ্যানের বিপরীতে ঝানু অর্থনীতিবিদ ড. নূরল ইসলাম প্রমাণ করে দেন, বাংলাদেশের রাস্তাঘাট ও খাদ্যশস্যের বাস্তব মজুতের প্রেক্ষাপটে এই পরিমাণের খাদ্য চোরাচালান সম্ভব নয়।

এ সময় আরব-ইজরায়েল যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। তেলের দাম বৃদ্ধি পায় কয়েকগুণ। পিএল ৪৮০-এর অধীনে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্য সহায়তাও বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশে পরপর তিনটি ফসল বন্যার কারণে নষ্ট হয়ে যায়। বাংলাদেশেকে এই দুঃসময়ে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে আসে বন্ধুপ্রতিম দেশসমূহ। দেশে খাদ্যাভাব দূর করার জন্য বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন স্থানে বিনামূল্যে খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করেন। দেশের সব সমস্যার জন্য বাংলাদেশ বিরোধীরা ভারতকে দায়ী করে।

একটি সদ্যস্বাধীন রাষ্ট্রের স্থপতিকে ক্ষমতাচ্যুত বা হত্যা করার জন্য একটি ক্ষেত্র তৈরি করতে হয়। এই ক্ষেত্র তৈরিতে এগিয়ে আসেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা ভাসানী (ন্যাপপ্রধান) ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘হক কথা’। মাওলানা ভাসানী নিরলসভাবে দেশে ভারতবিরোধী প্রচারণা চালাতে থাকেন। বাংলাদেশের চালসহ সবকিছু ভারতে পাচার অব্যাহত রয়েছেÑ তাঁর ‘হক কথা’য় এই সংবাদ ধারাবাহিকভাবে প্রচার হতে থাকে। তাঁকে সমর্থন করে আওয়ামী লীগ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া নবগঠিত সন্ত্রাসনির্ভর রাজনৈতিক দল ‘জাসদ’। এ দুটি রাজনৈতিক দলই হয়ে ওঠে গুজবের কারখানা। ‘হক কথা’র পাশাপাশি জাসদ প্রকাশ করে দৈনিক ‘গণকণ্ঠ’। উদ্দেশ্য একটাই। বঙ্গবন্ধু সরকারকে নানাভাবে অপদস্থ করা। জাসদ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য গঠন করে সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল ‘গণবাহিনী’। বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে অসত্য, অর্ধসত্য সংবাদ প্রকাশ করাই ছিল ন্যাপ ও জাসদের অন্যতম লক্ষ। বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের সঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র নিবিড় যোগাযোগ ছিল এবং এই যোগাযোগটি ছিল জেনারেল জিয়ার মাধ্যমে।

ড. নুরুল ইসলাম পরিকল্পনা কমিশন ছেড়ে একটি গবেষণা বৃত্তি নিয়ে ১৯৭৪ সালের শেষের দিকে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ড. ইসলাম তাঁর গ্রন্থে লিখেছেন ‘একদিন জিয়া গোপনে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন’। জিয়া ড. ইসলামকে বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি যেন বিদেশে না যান। জিয়া বলেন ‘নিকট ভবিষ্যতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এমন থাকবে না’। ইঙ্গিতটা ড. ইসলামের কাছে খুব স্বচ্ছ মনে হয়নি।

মার্কিন সাংবাদিক লরেঞ্জ লিফশুলজ বাংলাদেশে একটি পরিচিত নাম। তাঁর তথ্যবহুল বই `Bangladesh : A Legacy of Blood’ এ দেশে বহুলপঠিত। লিফশুলজ সিআইএ’র অবমুক্ত করা দলিলের উদ্ধৃতি দিয়ে এক প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘১৫ আগস্টের ৭ থেকে ১০ দিন আগে ঢাকায় একটি ডিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেই ডিনারে মাত্র ছয়জন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে অবস্থিত সিআইএ-র স্টেশন কমান্ডার ফিলিপ চেরি ও তাঁর স্ত্রী, ডিনারে নিমন্ত্রণকর্তা ও তাঁর স্ত্রী এবং জেনারেল জিয়া ও তাঁর স্ত্রী। সেই রাতে ডিনারের আগে ও পরে হোস্টের বাড়ির বাগানে চেরি ও জিয়া দীর্ঘ সময় ধরে নিভৃতে আলাপ করেন। লিফশুলজ তাঁর অনুসন্ধানের ভিত্তিতে মন্তব্য করেন, `The evidence increasingly points to the fact that Zia was one of the principal architect of the coup and played a much more significant role than Khondakar Mustaque Ahmed’ (A long read in search of truth-August 15, 1975, Dhaka Tribune, 14th August 2018).

বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’এরও একটি নিবিড় সম্পর্ক ছিল। জিয়া ১৮ বছর বয়সে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তাঁর প্রথম পদায়ন ছিল আইএসআই-তে। তিনি সেখানে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তখন তাঁর উর্ধ্বতনকর্তা ছিলেন জেনারেল জিয়াউল হক, পরবর্তীকালে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও সেনাশাসক। জিয়াউর রহমান কখনো পাকিস্তনের সঙ্গে এই সম্পর্ক ছিন্ন করেননি। এই সম্পর্ককে পুঁজি করে পাকিস্তানের এই গোয়েন্দা সংস্থা উত্তর-পূর্ব ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা করেছেন, যা তাঁর স্ত্রী বেগম জিয়ার শাসনামলেও বজায় ছিল।

বঙ্গবন্ধুকে যে হত্যা করার একটি গভীর ষড়যন্ত্র চলছে সে সম্পর্কে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ বঙ্গবন্ধুকে একাধিকবার সতর্ক করে। তিনি গুরুত্ব দেননি। তিনি বাঙালিকে অসম্ভব বিশ্বাস করতেন।

আমরা জানি, পনের আগস্ট শেখ হাসিনা যাঁদের হারিয়েছেন তাঁরা সবাই ছিলেন তাঁর আপন, প্রিয়জন। তবে তাঁদের মধ্যে তাঁর অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিল ছোটোভাই রাসেল। ১৯৮২ সালে এরশাদ ঘাতকদের একজন (বরখাস্ত) কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহামানকে দেশে এনে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল ফ্রিডম পার্টি। ফারুক রহমান এরশাদের বিপরীতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮৫ সালে ব্রিটিশ সাংবাদিক সলিল ত্রিপাঠী ঢাকায় ফারুক রহমানের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ১০ বছর বয়সী রাসেলকে কি হত্যা করাটা জরুরি ছিল? জবাবে ফারুক জানিয়েছিলেন, দরকার ছিল। কারণ তাঁরা শেখ মুজিবের কোনো উত্তরাধিকার রাখতে চাননি।

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর জিয়া কর্তৃক সংবিধানে ইনডেমনিটি আইন সংযোজন করার কারণে দীর্ঘ ২১ বছর ঘাতকদের কোনো বিচার করা সম্ভব ছিল না। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষমতায় আসার পর এই বিল রহিত করেন এবং এরপর ঘাতকদের বিচার শুরু হয়। আবার ২০০১ সালের পর বেগম জিয়া ক্ষমতায় এসে এই বিচারকার্য বন্ধ করে দেন। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা পুনরায় এসে সেই বিচারকার্য শেষ করেন। তবে ১৫ আগস্টের সব কুশীলবেরা যে বিচারের আওতায় এসেছে, তা কিন্তু নয়। কুশীলবদের অনেকেই দেশে ও দেশের বাইরে রয়ে গেছে। যাদের ফাঁসির হুকুম হয়েছিল তাদের সকলের সাজা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। তারা প্রায় সকলেই পকিস্তান, ভারত, কানাডা বা যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। প্রতিবছর এই দিনটি আসলে তাদের দেশে ফিরেয়ে দ-াদেশ কার্যকর করার অনেক কথা বলা হয়। কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছু ঘটতে দেখা যায় না। এটি খুবই দুঃখজনক।

পঁচাত্তরের সব শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। আল্লাহ তাঁদের সবাইকে বেহেশত নসিব করুন।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশে চিরজীবী হোক।