‘হালদার মৎস্য সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব স্থানীয় জনগণের

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা। মা মাছ ও হালদা নদীর নাব্যতা রক্ষার দায়িত্ব হালদা পাড়ের জনগণের। মা মাছ উৎপাদনকারী হালদার পুরোনো ঐতিহ্য রক্ষা স্থানীয় হালদা পাড়ের জনগণকে নিতে হবে। মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে|

হালদায় যে মাছের পোনা পাওয়া গেছে তা এবছর স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনের সাফল্য। এ সাফল্য সাধনার মধ্য দিয়ে ধরে রাখতে হবে।

মন্ত্রী আজ চট্টগ্রাম মেরিন ফিশরিজ একাডেমি হতে হালদা পরিদর্শনে এসে হালদা পাড়ের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলেদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

মত বিনিময় সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক জাহান প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল জব্বার শিকদার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম এহসানুল হায়দর চৌধুরী, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অবিরাম গতিতে চলছে। দেশের এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে সরকার উন্নয়ন করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার চায় শহর-গ্রামের সমান উন্নয়ন। শহরের উন্নয়ন দেখে মানুষ হতাশ হবেন এমন উন্নয়ন সরকার করেনি। শহরের সকল ধরণের উন্নয়নের সুফল গ্রামের তৃণমূলের জনগণ পাবে তা নিশ্চিত করার জন্যই আজ হালদা পাড়ে মতবিনিময় সভা। হালদা পাড়ের সভা এখন থেকে হালদা পাড়েই হবে। কোন নামি-দামী হোটেলে নয়। মৎস্য মন্ত্রী বলেন, এ বছর প্রজননকালীন মা ইলিশ রক্ষায় সাফল্য এসেছে। এ সাফল্য দেশের অর্থনীতির সাফল্য। ইলিশের সাথে দেশের মিঠা পানির মাছের উৎপাদনও বেড়েছে। প্রজননকালীন সরকার জেলেদের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে। জেলেদের সহায়তার জন্য প্রণোদনা দিয়েছে। মাছ ধরা নিষিদ্ধ বাস্তবায়নের জন্য রাত দিন পরিশ্রম করতে হয়েছে। পরিশ্রমের জন্য মৎস্য সেক্টরের অভাবনীয় সাফল্য অর্জন হয়েছে। মতবিনিময়কালে মন্ত্রী আরো বলেন, হালদা পাড়ের জেলেদের প্রণোদনার জন্য পুনরায় তালিকা করতে হবে। যারা প্রণোদনা পায়নি তাদের প্রণোদনা পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি