সড়কে আট প্রাণহানি

নিজস্ব প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ড ও পটিয়া »

সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাটে মোটরসাইেকল দুর্ঘটনায় এক মানসিক প্রতিবন্ধীসহ দু’জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টায় উপজেলার ফৌজদারহাটস্থ জলিল গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুইটি লাশ উদ্ধার করেছে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশ।
নিহত এক নারী অজ্ঞাত প্রতিবন্ধী অপরজন ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আনিকা (২৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোরে প্রায় ১৫/২০ জনের একটি গ্রুপ মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট জলিল গেট এলাকায় মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা এক মানসিক প্রতিবন্ধী (পাগলী) মহিলাকে বাঁচতে গিয়ে একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। এসময় ওই পাগল নারী ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং মোটরসাইকেল চালক আব্দুল মোমেন রুহিতের পিছনে থাকা তার স্ত্রী আনিকা গুরুতর আহন হন। স্থানীয় এবং অপর মোটরসাইকেল আরোহীরা তাদের উদ্ধার করে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চালকের স্ত্রী আনিকাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত মোটরসাইকেল চালকসহ এক পথচারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মোটরসাইকেল চালক মোমেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি নাজমুল হক বলেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী ঘটনাস্থলে মারা যান। গুরুতর আহত বাইক আরোহী এক নারীকে উদ্ধার করে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত হন আরো দুইজন।

পটিয়া

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ভাইয়ারদিঘি এলাকায় বাস চাপায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাস সিএনজি অটোরিকশাকে চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সিএনজি চালক উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন গ্রামের নবাব মিয়ার পুত্র মো. ইসমাইল (৫০), উপজেলার খরনা ইউনিয়নের কমলমুন্সির হাট এলাকার আবদুর রাজ্জাকের পুত্র রেজাউল করিম রফিক (৫০), চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়া এলাকার বণিকপাড়া গ্রামের মিন নাথ ধরের পুত্র শুভ ধর (২৭), উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র সাব্বির হোসেন (২৮), চন্দনাইশ উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের সেবাবাড়ির বিশ^জিত সেন (৪৫) ও তার স্ত্রী রূপ্না সেন (৪২)। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ জন যাত্রী। তারা হচ্ছেন বরিশালের আরিফুল ইসলাম (২৫), চশরিয়ার শাহ আলম (৪০), রিজুয়ানুল হক (৩২), সুখী (২৯), আবিদা (৭), রাফি (৭) ও সাতকানিয়া এলাকার শিপলু শর্মা (৪২)। আহতদের পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে কক্সবাজার ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী দ্রুতগতির বাস পটিয়ার ভাইয়ারদিঘি এলাকায় পৌঁছলে সামনের আরেকটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। দ্রুতগতির বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে খাদে পড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই মারা যান ৫ জন এবং আরো একজন পটিয়া হাসপাতালে মারা যায়। এসময় গাড়িতে থাকা অন্তত ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
স্থানীয় কচুয়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম ইনজামুল হক জসিম জানিয়েছেন, দ্রুত গতির বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনের একটি সিএনজি অটোরিকশাকে চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর পরেই স্থানীয় লোকজন, থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিম আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের এসআই আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় সিএনজি চালক ও স্বামী-স্ত্রীসহ ৬ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।