সৌন্দর্যবর্ধনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে

চসিক স্থায়ী কমিটির সভায় মেয়র
সাশ্রয়ী হওয়া সময়ের দাবি

‘করোনার ধকল সামলে না উঠতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী যে সংকট তৈরি হয়েছে এই সংকট সমাধানের জন্য শুধুমাত্র স্বল্প মেয়াদি উদ্যোগ নিলে হবে না। এই জন্য প্রয়োজন দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কার্যপরিচালনায় মিতব্যয়ী হতে হবে।’
গতকাল বাটালি হিলস্থ নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে চসিকের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত ও অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ ব্যবহার্য বিভিন্ন খাতে ব্যয় সংকোচন ও সাশ্রয়ী হওয়া সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নগরীতে যে সব বিল বোর্ড টাঙানো হয়েছে তা চসিকের অনুমোদিত কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখতে হবে এবং বিলবোর্ডগুলোতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয় তা কমিয়ে আনাসহ সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পঁচিশ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দেন।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর মোবারক আলী, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুস সালাম মাসুম, আব্দুল বারেক, মো. শাহেদ ইকবাল বাবু, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. আকবর আলী, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের প্রমুখ।
সভায় সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য চসিক যে সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সেইসব চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে তাদের চুক্তি বাতিল বলে গণ্য করা ও সৌন্দর্যবর্ধনের নামে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে সৌন্দর্যহানি করেছে সেগুলো ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া মেয়র সৌন্দর্যবর্ধনের নামে নগরীতে যেসব অপরিকল্পিত কাজ করা হয়েছে তা পরিহার করে নতুন উদ্যোগে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের উপর পরিকল্পনা নেয়া হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
সভায় চসিকের যে সমস্ত কর্মকর্তা সরকারি বিধি বিধান অনুযায়ী গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন তাদের গাড়ি নিশ্চিত করা এবং যারা বিধিবিধানের বাহিরে গাড়ি ব্যবহার করছেন তাদের গাড়ি ব্যবহার থেকে বিরত থাকার ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়াসহ যেসব যানবাহন মেরামতযোগ্য তা তালিকা করে মেরামতের ব্যবস্থা করা এবং গাড়ি মেরামত করলেও ব্যবহারের উপযুক্ত নয় তা নিলামে বিক্রয়ের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য অর্জনে কন্টেইনার সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা, নতুন কন্টেইনার মুভার ক্রয় করা, ত্রুটিযুক্ত আবর্জনাবাহী গাড়ি দ্রুত মেরামত ও রং করে ব্যবহারের উপযোগী করা এবং পরিচ্ছন্ন বিভাগের বিগত ৬ মাসের বিভিন্ন কার্যক্রমের খতিয়ান ওয়ার্ড অনুযায়ী আগামী ১ মাসের মধ্যে মেয়র বরাবরে উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিজ্ঞপ্তি