সমুদ্রবাণিজ্য

চট্টগ্রাম বন্দর। ছবিটি তুলেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী শোয়েব ফারুকী।

যেভাবে যুক্ত হলো চট্টগ্রাম

রুশো মাহমুদ »

চট্টগ্রাম- যার সামনে অবারিত সমুদ্রপথ, সমৃদ্ধ গাঙ্গেয় বদ্বীপ, নদীজ অন্তর্জাল, উন্নত পশ্চাদভূমি। প্রকৃতির দেয়া বন্দরসুবিধা প্রাচীনকাল থেকেই এখানে বিদ্যমান। সে কারণে সুদূর অতীত থেকেই চট্টগ্রামে ভিড়তো সামুদ্রিক নৌযান, বাণিজ্য বহর।

প্রাচীন গ্রিক জ্যোতির্বিদ টলেমির মানচিত্রে পাওয়া ‘পেন্টাপলিস’, অজ্ঞাতনামা গ্রিক নাবিকের ‘পেরিপ্লাস অফ ইরিথ্রিয়ান সী’-তে বর্ণিত ‘গাঙ্গে’, ভিনদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে পাওয়া নাম চাটিগাম, চাটিগাও কিংবা সিটি অফ বাঙ্গেলা – এসব চট্টগ্রামেরই ভিন্ন ভিন্ন নাম।

বাংলার নৌবাণিজ্যের ইতিহাস সুপ্রাচীন। বাংলায় নৌবাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বা উল্লেখ করার মতো বন্দর ছিলো মূলত তিনটি – তাম্রলিপ্ত, সপ্তগ্রাম ও চট্টগ্রাম।

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে দূরপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ট্রানজিট বন্দর হিসেবে পরিচিত ছিলো তাম্রলিপ্ত। রূপনারায়ণ নদী ও সমুদ্রের সঙ্গমস্থলেই বন্দরটির অবস্থান ছিল। রূপনারায়ণ নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ার পর তাম্রলিপ্তের গৌরব বিলুপ্ত হতে থাকে। নদীপথটি সপ্তগ্রাম বা সাতগাঁওয়ের দিকে সরে গিয়ে সৃষ্টি করে সপ্তগ্রাম বন্দরের। সরস্বতী নদীর ওপরেই ছিলো সপ্তগ্রাম বা সাতগাঁও বন্দরশহর। তাম্রলিপ্ত বন্দরের অবস্থান ছিলো মেদিনীপুর জেলায় এবং সপ্তগ্রাম, হুগলী জেলায়।

তাম্রলিপ্ত বন্দর বিলুপ্ত (দ্বাদশ শতক) হওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দরই শ্রেষ্ঠ বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। তারও আগে আরব ব্যবসায়ীরা অষ্টম থেকে একাদশ শতাব্দী পর্যন্ত ‘হরিকেল’ বা ‘সমন্দর’-এর উল্লেখ করেছেন, এগুলো চট্টগ্রামেরই অন্য নাম।

আরবদের আগমন

আরবরা পৃথিবীর প্রাচীন ব্যবসায়ী। পশ্চিম, দক্ষিণ এবং পূর্বে সমুদ্র পরিবেষ্টিত আরব ভূমি। স্বাভাবিকভাবেই  আরবরা ছিলো নৌ চলাচলে অভ্যস্ত। সেই সময় সমুদ্রগামী জাহাজ ও সমুদ্রবাণিজ্য নির্ভর একটি জাতি হিসেবে পরিচিত ছিলো আরবদের।

অবস্থানগত কারণে জীবনধারণের জন্য অন্য কোন উপায় না থাকায় আরবজাতি অস্তিত্ব রক্ষার জন্য তখন নানা দেশে সমুদ্রবাণিজ্য  এবং স্বদেশে মেষ পালনের মাধ্যমে জীবিকা অবলম্বন করতো।

আরবের মুসলমান বণিকেরা ছিলো এশিয়ার সমুদ্রবাণিজ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী। ভারত মহাসাগরের সব বাণিজ্যে আরব মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণ ছিলো। ভারতের উপকূলবর্তী প্রতিটি শহর ও ভারতীয় দ্বীপসমূহ স্পর্শ করে চলতো আরবদের নৌযান। অষ্টম-নবম শতকে মুসলমান আরব বণিকদের চট্টগ্রামে আগমন শুরু হয়। গঙ্গার বদ্বীপ বা শেষ প্রান্তে অবস্থিতির কারণে আরব বণিকরা এর নাম দেন শাত-উল-গঙ্গ। শাত মানে বদ্বীপ, শাত-উল-গঙ্গ মানে গঙ্গার বদ্বীপ।

চীনের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক

প্রাচীনকাল থেকে চীনের সঙ্গে এ জনপদের একটি বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল। ১৪০৫-১৪৩৩ কালপর্বে চীনা নৌসেনাপ্রধান চেং হো বিশ্বের সবচেয়ে বড় নৌবহর নিয়ে ভারত মহাসাগরে সাতটি অভিযাত্রা পরিচালনা করেন। মা হুয়ান ছিলেন তার অভিযাত্রায় অন্যতম সফরসঙ্গী। মা হুয়ানের বর্ণনায় থাইল্যান্ড, জাভা, সুমাত্রা, শ্রীলঙ্কার বন্দরের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত ছিল চট্টগ্রাম বন্দরও। এখন জানা যাচ্ছে নৌ বাণিজ্য নেটওয়ার্ক সিল্করুট প্রাচীনতম বন্দর চট্টগ্রামকেও স্পর্শ করেছিল।

পর্তুগিজদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও ধর্ম প্রচার

১৫০০ শতকের শুরুতে চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম ইউরোপীয়দের মধ্যে পর্তুগিজ খ্রিস্টানদের আগমন হয়। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে তারা আসতে থাকে এবং ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি ধর্ম প্রচারের কাজও করে।

১৫১৭ সালে পর্তুগিজ ক্যাপ্টেন জোয়া দ্য সিলভেইরা ‘লুপু সোয়ানা’ জাহাজ নিয়ে প্রথম চট্টগ্রাম বন্দরে আসেন। ১৫২৬ সালে পর্তুগিজ ক্যাপ্টেন সাজ পেরেইরা চট্টগ্রাম সফর করেন। ১৫৩৩ সালে পর্তুগিজ ক্যাপ্টেন আলফনসো দে মেল্লো চট্টগ্রাম আসেন। ১৫৮৫ সালে পর্তুগিজরা চট্টগ্রাম বন্দরের কর্তৃত্ব দখল করে।

পোর্টো গ্রান্ডে বনাম পোর্টো পেকুইনো

মধ্যযুগের ইউরোপীয়দের কাছে চট্টগ্রামের যে গুরুত্ব তার প্রধান কারণ ছিল বাংলার সমৃদ্ধ অর্থনীতি। বাংলার আমদানি-রপ্তানিবাণিজ্যের আন্তর্জাতিক যোগাযোগকেন্দ্র ছিল চট্টগ্রাম। সুরাট যেমন ভারতের পশ্চিম উপকূলের প্রধান বন্দর ছিল, তেমনি বঙ্গোপসাগরের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বন্দর ছিল চট্টগ্রাম।

পর্তুগিজরাই ইউরোপীয়দের মধ্যে প্রথম বাংলায় আসে। তারা বাংলার দুটো বন্দর ব্যবহার করে এগুলোর একটির নাম দিয়েছিলো ‘পোর্টো গ্রান্ডে’, আরেকটির নাম দেয় ‘পোর্টো পেকুইনো’। পোর্টো গ্রান্ডে মানে বড় বন্দর। বড় বন্দর বলতে চট্টগ্রাম বন্দরকে বোঝানো হয়েছে। আর পোর্টো পেকুইনো মানে ছোট বন্দর অর্থাৎ সপ্তগ্রাম বন্দর।

তুর্কী ক্যাপ্টেন ও ভেনিশীয় পরিব্রাজকের সফর

১৫৫৪ সালে তুরস্কের নৌ অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন সিদি আলী চেহেলি চট্টগ্রাম বন্দরে আসেন। তুর্কী সুলতানের নির্দেশে তিনি চট্টগ্রাম সফর করেন। এসময় চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে বিশ্ব পরিচিতি লাভ করে।

১৫৬৭ সালে সিজার ফ্রেদেরিকো চট্টগ্রাম সফর করেন। সিজার ফ্রেদেরিকো ছিলেন একজন ভেনিশীয় পরিব্রাজক। সিজার ফ্রেদেরিকোর কাছে এ জনপদ ব্যবসা অধ্যুষিত শহর বলে মনে হয়েছিল।

অধিকারের লড়াই ও ইংরেজ আমল

পঞ্চদশ শতকের কিছু সময়, ষোড়শ শতকের পুরো সময় চট্টগ্রাম নিয়ে ত্রিমুখী কাড়াকাড়ি ছিল। বিদেশি বণিকদের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছিল এই বন্দরনগরের উপর। চট্টগ্রামের অধিকার নিয়ে ত্রিপুরা, আরাকান ও মোগল রাজশক্তির মধ্যে রক্তক্ষয়ী লড়াই ছিল অবিরাম।

চট্টগ্রাম বন্দরের খ্যাতি অব্যাহত ছিল পর্তুগিজদের চট্টগ্রাম আগমনের সময়কাল পর্যন্ত। তাদের আগমনের কিছুকাল পর চট্টগ্রামের অবক্ষয় শুরু হয়েছিল। হুগলির পর্তুগিজ আর চট্টগ্রামের পর্তুগিজদের মধ্যে অনেকটা পার্থক্য ছিল। হুগলির পর্তুগিজেরা ছিল বাণিজ্যমুখী, চট্টগ্রামের পর্তুগিজেরা ছিল দস্যুতামুখর। মোগল আমলের শুরু থেকে চট্টগ্রামের সমুদ্র উপকূল আরাকানি আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়ার পর বিদেশি জাহাজের আনাগোনা কমে যায়।

ইংরেজ আমলের শুরু থেকে আবারও বাণিজ্যিক জাহাজের আনাগোনা শুরু হলেও আগের মত গতিশীল ছিল না, কেননা ততদিনে হুগলির তীরে গড়ে ওঠা কলকাতা এই অঞ্চলের বৃহত্তম বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে।  বাংলার সকল আমদানি রপ্তানি কলকাতা বন্দর দিয়ে সম্পন্ন হতো। তবে ইংরেজ শাসনের দ্বিতীয় পর্বে অর্থাৎ সরাসরি ইংরেজ শাসন জারি হওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দর আবারো জেগে উঠতে শুরু করে। নগর হিসেবে কলকাতাকে বেছে নেওয়া হলেও বন্দর হিসেবে চট্টগ্রামের দিকে ঝুঁকেছিল সঙ্গত কারণে।  কলকাতা বন্দরের অবস্থান বঙ্গোপসাগর থেকে দুশো কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে। সমুদ্র থেকে এতটা দূরত্ব আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য সুবিধাজনক ব্যাপার নয়, ফলে চট্টগ্রাম বন্দরকে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ঊনিশ শতকের শেষার্ধে।

১৮৫৩ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে ব্রিটিশরা চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য একজন কালেক্টর ও কনজারভেটরের পদ নির্ধারণ করে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা নৌযানগুলো থেকে শুল্ক আদায় করত কাস্টমস কালেক্টর এবং নৌযান চলাচলের রাস্তা সচল রাখা ও ভেড়ানোর কাজটি করত পোর্ট কনজারভেটর।

১৮৮৭ সালের ২৫ এপ্রিল, আধুনিক চট্টগ্রাম বন্দর যাত্রা শুরু করে। চালু হওয়ার ২০ বছরের মধ্যে অনেক খানি এগিয়ে যায় এ বন্দর। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী বন্দর রেঙ্গুন বা কলকাতার তুলনায় চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিকভাবে ছিল অধিক সুবিধাজনক অবস্থায়। সে কারণে চট্টগ্রাম বন্দরেই  ভিড়তো ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের নানান বন্দর থেকে আগত জাহাজগুলো। সমগ্র পূর্ব ভারতে চট্টগ্রামই ছিল একমাত্র বন্দর যার মাধ্যমে সহজে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন সহজতর ছিল। আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের সদর দপ্তর চট্টগ্রামে স্থাপিত হয়েছিল এই সুবিধার কারণেই, যার ফলে সেসময় পাট রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং চায়ের রপ্তানিও বেড়েছিল অনেক গুণ।

পুনর্বিন্যাস কাল

১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানের একমাত্র সামুদ্রিক প্রবেশদ্বার হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রয়োজন হয়ে পড়ে। নতুন জেটি, রেলওয়ে ইয়ার্ড, মুরিং এবং জাহাজ চলাচল, মালামাল বোঝাই ও খালাস প্রক্রিয়াাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পোর্ট-রেলওয়ে নামে রেলওয়ে ডিভিশনের অধীনে একটি সংস্থা গঠন করা হয়। বন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন পোর্ট-রেলওযয়ে জেনারেল ম্যানেজার। অন্যদিকে পোর্ট কমিশনার্স পাইলটেজ, নদী শাসন ও সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। এই দ্বৈত শাসন বন্দর পরিচালনা ও উন্নয়নের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। দ্বৈত শাসন বিলুপ্ত করার জন্য ১৯১৪ সালের পোর্ট অ্যাক্ট সংশোধন করা হয়। ১৯৬০ সালের ১ জুলাই পোর্ট ট্রাস্ট গঠন করা হয় ও দ্বৈত শাসনের বিলুপ্তি ঘটে।

নবযাত্রা

সার্বভৌম ও স্বাধীন বাংলাদেশের মূল বন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে নতুন যাত্রা শুরু করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বন্দর খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাশিয়ার সাহায্য নিয়ে ডুবে যাওয়া জাহাজ ও মাইন মুক্ত করা হয় বন্দরের চ্যানেল থেকে।

বন্দর প্রশাসনকে কার্যোপযোগী করার জন্য ১৯১৪ সালের পোর্ট অ্যাক্ট রহিত করে ১৯৭৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জারি করা হয় পোর্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স। বন্দর প্রশাসনে নতুন কাঠামোর জন্ম হয়। বর্তমানে একজন চেয়ারম্যান ও সার্বক্ষণিক চারজন সদস্য (ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রশাসন ও পরিকল্পনা, হার্বার ও মেরিন, এবং অর্থ) বন্দর পরিচালনার সার্বিক দায়িত্বে থাকেন। অথরিটি বোর্ডেও চেয়ারম্যান হচ্ছেন বন্দর প্রশাসনের চিফ এক্সিকিউটিভ।

আগামীর বন্দর

আদিকাল থেকে জনপদ হিসেবে যতটুকু নয়, বন্দর হিসেবে তার চেয়ে অনেক বেশি পরিচিত চট্টগ্রাম। প্রাচ্যবাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিন্দু বঙ্গোপসাগরের কোলের এই বন্দর চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রাম বন্দর জোয়ার-ভাটানির্ভর একটি প্রাকৃতিক বন্দর। বন্দরের জাহাজ চলাচলের পথে পানির গভীরতা কম। জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা বাড়লে জাহাজগুলো বন্দরের নিজস্ব পাইলটের মাধ্যমে সাগর থেকে কর্ণফুলী নদী দিয়ে মূল জেটিতে আনা-নেওয়া করা হয়।

জার্মানির হামবুর্গ পোর্ট কনসাল্টিংয়ের এক সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ২০৩৬ সালে ২০ ফুট দীর্ঘের ৫৬ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করতে হবে চট্টগ্রাম বন্দরকে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল ও মেঘালয়ে পণ্য পরিবহন পুরোপুরিভাবে শুরু হলে এ চাপ আরো বাড়বে।

ভবিষ্যৎ চাপ সামাল দিতে চট্টগ্রাম বন্দর জলসীমার শেষ প্রান্তে ইপিজেডের পেছনে সাগরপার থেকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের অদূরে রাসমনিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার এলাকায় বে টার্মিনাল গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আগামীর বন্দর বিবেচনায় বে টার্মিনাল প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলে বন্দর সুবিধা নিয়ে আগামী ৫০ বছর আর ভাবতে হবে না।

আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ পর্যাপ্ত জেটি ও পর্যাপ্ত টার্মিনাল স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সমুদ্রবন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে চট্টগ্রাম বন্দরকে। আর এটা করা গেলে দেশে ব্যবসার খরচ কমে আসবে। বিদেশী উদ্যোক্তারাও বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আরো বেশি আগ্রহী হবেন।