সংস্কারকাজ শুরুর আগে চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চিত হওয়া জরুরি

নির্ধারিত সময়ের পরে শুরু হতে যাচ্ছে কালুরঘাট সেতু সংস্কারকাজ। কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ ঈদুল আযহার পরপরই শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আশা করছেন আগামী সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু করা যাবে।
সংস্কারকাজ চলাকালে কালুরঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর দুই প্রান্তের গাড়ি ও মানুষ পারাপার হবে ফেরিতে। কয়েক মাস আগে তিনটি ফেরি এনে রাখা হয়েছে কালুরঘাট সেতুর নিচে। তবে এখনো পর্যন্ত ফেরি চালানোর অপারেটর ও ইজারাদার নিয়োগ না করায় সংস্কারকাজ শুরুর আগে ফেরি চলাচলে অনিশ্চয়তা দেখা গেছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন সেতু দিয়ে চলাচল করা যাত্রীরা।
ফেরির টোল হার নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠায় সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) বিভাগ। দেরিতে হলেও মন্ত্রণালয়ের একটি মিটিংয়ে টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন অপারেটর ও ইজারাদার নিয়োগের কাজটা বাকি। আগামী ১১ জুলাই টেন্ডার ওপেন (দরপত্র খোলা) হবে।
রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৩১ সালে নির্মিত হয় কালুরঘাট রেল সেতু। ১৯৬২ সালে যান চলাচল শুরু হয়। সেতুর বর্তমান অবস্থা খারাপ। এর আগে দুবার সংস্কার করা হয়েছে। এখন কক্সবাজারে ভারী ইঞ্জিনের ট্রেন যাবে। তাই কালুরঘাট সেতু সংস্কার করতে হচ্ছে। বর্তমানে এই সেতুতে ট্রেনের গতি ১০ কিলোমিটার। সংস্কারের পর ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার হবে।
রেলওয়ের প্রকৌশলীরা জানান, কালুরঘাট সেতুতে নতুন রেললাইন স্থাপন ও পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) করা হবে। এছাড়া সেতুতে মানুষের হেঁটে চলাচলের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আট মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তবে মূল সেতুর সংস্কারকাজ শেষ করতে হবে তিন মাসের মধ্যে।
কালুরঘাট সেতু নিয়ে মানুষের দুর্ভোগ কম নয়। ফেরি চালু না হলে সেতুর কাজ শুরু করা সম্ভব নয়। সেতু সংস্কারকাজ শুরু হওয়ার আগে এ চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চিত হওয়াটা জরুরি।