শুরুতেই ট্রেনের টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে

সুবর্ন ট্রেনের প্রায় সব টিকেট বিক্রি শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

গণ পরিবহন হিসেবে ট্রেনে যথারীতি যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। গত ২৬ মার্চের পর ৩১ মে রোববার থেকে সীমিত আকারে ট্রেন সার্ভিস চালুর প্রথম দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের জনপ্রিয় ট্রেন সুবর্ন এক্সপ্রেসের ৪৫০ টিকেটের মধ্যে শনিবার রাত ৯টার মধ্যে ৩৮০ টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। আর এতেই  বোঝা যায় দীর্ঘদিন যাত্রা করতে না পেরে মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে উদগ্রীব হয়ে আছে। সুবর্ন এক্সপ্রেসওয়ের পাশাপাশি একইসাথে সোনারবাংলা ও উদয়ন এক্সপ্রেসের টিকেটও বিক্রি হচ্ছে। তবে সবচেয়ে ব্যতিক্রম বিষয় হলো সব টিকেট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে।

টিকেট বিক্রি শুরু হওয়ার পর কেমন টিকেট বিক্রি হলো তা জানতে কথা হয় পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্ত আনসার আলীর সাথে। তিনি বলেন,‘ সুবর্ন এক্সপ্রেস ট্রেনের ৪৫০ টিকেটের মধ্যে ৩৮০টি টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। রোববার সকাল ৭টায় ট্রেন ছাড়ার আগ মূহূর্ত পর্যন্ত টিকেট কেনা যাবে।’

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে অপর ট্রেন সোনারবাংলা এবং চট্টগ্রাম-সিলেট রুটের উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট বিক্রি প্রসঙ্গে আনসার আলী বলেন,‘এই দুই ট্রেনের টিকেটও বিক্রি হচ্ছে।‘

সব টিকেট তো অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। স্টেশনের কাউন্টারে কি টিকেট পাওয়া যাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সব টিকেট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই কাউন্টারে টিকেট পাওয়া যাবে না।’ তবে অপর এক সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে কাউন্টার উন্মুক্ত থাকবে এবং ট্রেন ছাড়ার আগে কাউন্টার থেকেও হয়তো টিকেট সংগ্রহ করা যাবে।

এদিকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন নিজে ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন-‘এই করোনাকালিন ট্রেন যাত্রায় দুটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে। তা হচ্ছে কাউন্টারে না গিয়ে অনলাইন টিকিটের প্র্যাকটিস। আর একটি হচ্ছে স্ট্যান্ডিং টিকিট বন্ধ রেখে ট্রেন যাত্রা। আপাতত কাউন্টার এবং স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। অনেকদিন থেকে এ দুটি বিষয়ের উত্তর খুঁজছি। উত্তর জানা থাকলে তা রেলের কাছে ছিল অজানা বা অন্যরকম। এবার অপেক্ষা। এর উপর নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। আল্লাহ যা করেন, ভালর জন্য করেন।’

তবে অনলাইনে টিকেট বিক্রি নিশ্চিত করা গেলে কালোবাজারি যেমন কমে যাবে তেমনিভাবে মানুষের ভোগানিত্মও অনেক কমবে। এদিকে সামাজিক দূরত্ব মেনে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করার জন্য সকল রম্নটে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর ৫০ শতাংশ টিকেট বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসেবে সুবর্ন এক্সরেপ্রস ট্রেনের ৮৯৯টি সিটের মধ্যে টিকেট বিক্রি হবে ৪৫০টি সিটের, সোনারবাংলার ৫৮৪টি সিটের মধ্যে টিকেট বিক্রি হবে ২৯২টি সিটের এবং উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের ৫৯৬টি সিটের মধ্যে টিকেট বিক্রি হবে ২৯৮ জনের। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোর মধ্যে সুবর্ন এক্সপ্রেস সকাল সাতটায়, সোনারবাংলা বিকাল ৫টায় এবং উদয়ন রাত ৯টায় ছেড়ে যাবে।