শাহ আমানত বিমানবন্দরে চালু হচ্ছে ই-গেট

নিজস্ব প্রতিবেদক »

বিমানযোগে বিদেশযাত্রা কিংবা ফেরতে আসার পথে যাত্রীদের অতিক্রম করতে হবে ইলেকট্রনিক গেট (ই- গেট)। এতে কমে যাবে যাত্রীদের ভোগান্তি। পাশাপাশি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা হবে আরও জোরদার। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডিপারচার সেকশানে ছয়টি ই- গেট বসানো হয়েছে। যা উদ্বোধন করবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

জানা গেছে, শুধু ই-পাসপোর্টধারীরা ই-গেট ব্যবহার করতে পারবেন। প্রথমে ই-গেটের প্রবেশপথে নিজের ছবি, তথ্য ও বারকোডযুক্ত পৃষ্ঠা স্ক্যান করতে হবে। সেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) মাধ্যমে সব তথ্য যাচাই হলে খুলবে প্রথম ধাপ। এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যামেরাযুক্ত ফেসিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে যাত্রীর তাৎক্ষণিক পাওয়া মুখম-ল মেলানো হবে। মুখম-ল মিলে গেলে খুলে যাবে দ্বিতীয় গেটও। এরপর যাত্রীকে চূড়ান্ত অনুমতির জন্য ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার কাছে যেতে হবে। কারণ পাসপোর্টের তথ্য ই-গেটে ইলেকট্রনিক্যালি যাচাই
করা হলেও ই-ভিসা সব দেশে নেই। তাই ম্যানুয়ালি সেইসব ভিসা যাচাই করা হবে। যাচাই করার পর সিল ও স্বাক্ষর প্রদান করবেন ইমিগ্রেশন অফিসার।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার তাসলিম আহমেদ সুপ্রভাতকে বলেন, ‘বিমানবন্দরের ডিপারচার সেকশানে ছয়টি ইলেকট্রনিক গেট বসানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। এ ই-গেট বসানোর মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাতারে আরও একধাপ এগিয়েছে।

ই-গেটের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে সবকাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে। এতে যাত্রীদের কোনো প্রকার ভোগান্তি হবে না। পাশাপাশি ব্ল্যাক লিস্টেড কেউ চাইলেও এ গেট দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ইনভেলিড ও জাল পাসপোর্ট নিয়ে কেউ আসা-যাওয়া করার কোনো সুযোগ পাবে না। তাই এই গেটের মাধ্যমে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে। এ গেটে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের প্রাথমিকভাবে ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বিশেষ প্রশিক্ষিত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক যাত্রীরা ছয়টি গেটের মধ্যে ৩টি গেট দিয়ে যাওয়া ও ৩টি গেট দিয়ে আসার সুযোগ পাবেন। ২০২০ সালে দেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) থেকে এগিয়ে ই-পাসপোর্ট চালু করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ৭ জুন চালু হয় সর্বাধুনিক স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থা বা ই-গেট।