লাল থেকে হলুদের পথে উত্তর কাট্টলী

১০ দিনে করোনা শনাক্ত ১১ জন #
সালাহ উদ্দিন সায়েম :
লাল জোন থেকে হলুদ জোনে রূপান্তরের পথে রয়েছে লকডাউন চলমান থাকা উত্তর কাট্টলী। গত ১০ দিনে ৬৯ হাজার জনসংখ্যার এই ওয়ার্ডে মাত্র ১১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। লকডাউনের কারণে এই সুফল পাওয়া যাচ্ছে বলে প্রশাসনের অভিমত।
১৬ জুন মধ্যরাত থেকে ২১ দিনের লকডাউন শুরু করে এখন পর্যন্ত ১০ দিন পার করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাইড লাইন অনুযায়ী প্রতি একলাখ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সর্বশেষ ১৪ দিনে ৬০ জন বা এর অধিক করোনা রোগী শনাক্ত হলে তা লাল জোনে এবং ৩ থেকে ৫৯ জন হলে হলুদ জোন হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৪ দিন হতে এখনো আরো চারদিন বাকি রয়েছে, তারপরও তা হলুদ জোনের পথে রয়েছে বলে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা মনে করছেন।
লকডাউন এলাকার মানুষের সুবিধার্থে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক বুথের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে পরীক্ষা করে আসছে। আর এসব পরীক্ষা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ করা হচ্ছে।
লকডাউনের আগে উত্তর কাট্টলীতে করোনা শনাক্ত ছিল ১৪৫ জন, এরমধ্যে মারা গেছেন ৭ জন। অপরদিকে গত ১৬ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত ১৪৭ নমুনা পরীক্ষায় ১১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। কারো মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
সভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, স্বাস্থ্য অধদিপ্তরের গাইডলাইন অনুসারে ১৪ দিনে ১ লাখে ৬০ জন করোনা শনাক্ত হলে উত্তর কাট্টলীর ৬৯ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে করোনা শনাক্ত হতে হবে ৮৬ জন।
এবিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, উত্তর কাট্টলীতে লকডাউন শুরুর গত ১০ দিনে মাত্র ১১ জন শনাক্ত হয়েছেন। আরো চারদিন বাকি রয়েছে। তাই এখনই হলুদ জোন বলা না গেলেও তা হলুদ জোনের পথে রয়েছে। এটা লকডাউনের সুফল পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, লকডাউনের ১৪ দিন পর উত্তর কাট্টলীর পরিস্থিতি নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের সাথে সমন্বয় করে পর্যালোচনা সভা করা হবে।
চলমান লকডাউনের কারণে করোনার সংক্রমণের হার ৯০ শতাংশ কমেছে বলে মনে করেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নিছার উদ্দিন মঞ্জু। তিনি বলেন, লকডাউনের উদ্দেশ্য হলো সংক্রমণের হার কমানো এবং এতে আমরা সফল। লকডাউন না হলে হয়তো সংক্রমণ আরো বেড়ে যেতো।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন করোনা প্রতিরোধে টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভায় চট্টগ্রামেরর ১০টি ওয়ার্ডকে লাল জোনের আওতাভুক্ত করে। এরমধ্যে ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও বাকি ৯টি ওয়ার্ডে এখনো লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি। লাল জোন ঘোষণা করা বাকি ওয়ার্ডগুলো হলো-১৪ নম্বর লালখান বাজার, ১৬ নম্বর চকবাজার, ২০ নম্বর দেওয়ান বাজার, ২১ নম্বর জামালখান, ২২ নম্বর এনায়তে বাজার, ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহর, ৩৭ নম্বর উত্তর-মধ্যম হালিশহর, ৩৮ নম্বর দক্ষিণ-মধ্যম হালশিহর এবং ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালশিহর ওর্য়াড। এছাড়া ১৫ জুন ৯টি উপজেলাকে লাল জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। উপজেলাগুলো হলো-আনোয়ারা,বাঁশখালী, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, সীতাকু- ও হাটহাজারী।