রেলওয়ের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৬ দফা দাবি

চবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

চবি সংবাদদাতা »

আসসালা-মু আলাইকুম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্টেটমেন্ট ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’। আপনি কি দুর্নীতির বিরুদ্ধে না পক্ষে? যদি দুর্নীতির বিপক্ষে তাহলে আপনার জন্য একটি কলম। এই কলম দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখুন, আমাদের পাশে থাকুন। এই চিত্র গতকাল রোববার চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের।
ঢাবি শিক্ষার্থী রনির শুরু করা দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে অবস্থান নেন চার চবি শিক্ষার্থী। এসময় রেলওয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের তারা কলম উপহার দেন। অনুরোধ করেন কলম দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ জারি রাখার জন্য। তাদের হাতে থাকা প্লেকার্ডে লিখা ছিলো ‘আমরা দিব ফুল আর ভালোবাসা, আপনারা দিন একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’। পাশাপাশি তাদের গলায় শোভা পেয়েছিলো অন্যায়ের প্রতিবাদে গান। অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মাহবুব হাসান, মোহাম্মদ মাসুদ, মোহাম্মদ মাহিন রুবেল এবং চতুর্থ বর্ষের ছাত্র কাজী আশিকুর রহমান।
এর আগে ঢাকায় এ কর্মসূচি পালন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিন রুবেল ও কাজী আশিকুর রহমান। এছাড়া ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গত এক সপ্তাহ ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।
জানা গেছে, গত মাসে রেলের টিকিট কিনতে গিয়ে হয়রানির শিকার হন রনি। এরপর ঈদুল আজহার আগে ৭ জুলাই থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে অনশন শুরু করেন মহিউদ্দিন। এমনকি ঈদের দিনেও তিনি অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে যাননি।
রেলওয়ের দুর্নীতির সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে তাদের ছয় দফা দাবি হলো, টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সহজ ডট কম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করা ও হয়রানির ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া, যথোপযুক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ, অনলাইনে কোটায় টিকিট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করা ও অনলাইন-অফলাইনে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া, ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক-তত্ত্বাবধায়কসহ অন্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক নজরদারি ও শক্তিশালী তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেলসেবার মান বাড়ানো এবং ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
মাহিন রুবেল জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ৬ দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলছে। সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরে যাবো না। এরমধ্যে রেলওয়ের দুর্নীতিবাজরা ঢাকায় আমাদের বন্ধু রনির উপর হামলা করেছে। কিন্তু আমাদেরকে আমাদের লক্ষ্য থেকে দূরে সরাতে পারে নি। ঢাকাসহ ১১ দিন হয়েছে আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচির।