রিকশায় দ্বিগুণ ভাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক »
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত লকডাউনে সকল পরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় নগরজুড়ে চলছে রিকশা। নগরবাসী প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন রিকশায় চড়ে। এ সুযোগে ভাড়া দ্বিগুণ থেকে বেশি হাঁকাচ্ছে চালকেরা। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন নগরবাসী।
গতকাল শনিবার সকালে নগরের বহদ্দারহাট, চাঁন্দগাও, নিউমার্কেট, লালখানবাজার, আগ্রাবাদ, ইপিজেড, শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য।
বহদ্দারহাট মোড়ে দেখা যায়, সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে অনেক রিকশা। যাত্রীর অপেক্ষায় রয়েছে চালকরা। মানুষের কমতি নেই এ এলাকায়। সকল পরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রয়োজনীয় কাজে যেতে রিকশা ছাড়া বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই এ নগরে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুটছে রিকশা চালকেরা। ৫০ থেকে ৬০ টাকার ভাড়া হাঁকাচ্ছেন ১০০ থেকে ১২০ টাকা। রিকশা ভাড়া করতে গেলেই মাছের বাজারের মত দরকষাকষি করতে দেখা যায় যাত্রীদের। এমন ফায়দা লুটার কারণে তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড় বইছে রিকশার ভাড়া প্রসঙ্গে। ভাড়া বেশি হাঁকায় অনেকে ক্ষুব্ধ হয়ে ফুটপাত ধরে হাঁটা শুরু করছেন। গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেকে শেয়ারে রিকশা ভাড়া করছে। একই চিত্রের দেখা মিলেছে শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন এলাকায়।
দুপুর বেলায় ভাড়া কিছুটা কম হলেও বিকেল হতে না হতে তা আবারো সকালের ন্যায় হয়ে যায়। এ সময়ে রিকশার চাহিদাও বেড়ে যায়। বিকেলে ইপিজেড এলাকায় গেলে রিকশা চালকেরা দূরের ভাড়া নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এ সময় রিকশা ভাড়া করতে গিয়ে অনেককে তাদের উপর মারমুখী হতে দেখা যায়।
চাদগাঁও এলাকায় এক প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী রাহুল গুহ বলেন, ‘নগরে অন্যান্য পরিবহন চলাচল না করায় রিকশার দাপট বেড়ে গেছে। তারা দ্বিগুণের বেশি ভাড়া নিচ্ছে। বিকেল হলে দুইজন যাত্রী নিয়ে উভয়ের কাছ থেকে সমপরিমাণ ভাড়া দাবি করছে। সুযোগ যে পায় সে খাই। বর্তমানে রিকশাওয়ালাও বাদ গেলো না।
ইপিজেড এলাকার ব্যবসায়ী সুজিত বিশ্বাস বলেন, ‘লকডাউনের কারণে গাড়ি নিয়ে বের হতে পারিনি। ফলে রিকশাওয়ালাদের আসল রূপ দেখতে পাচ্ছি। এ দেশের সকল শ্রেণির মানুষ যদি এমন মনোভাব নিয়ে থাকে, দেশের উন্নয়ন তো আটকে যাবে।’
নিউমার্কেট এলাকার রিকশাচালক মাইদুল বলেন, ‘সারাদিনে ২টা ভাড়া পেয়েছি। ৮০ টাকা ইনকাম হয়েছে। মালিককে দিতে হবে ১০০ টাকা। রাস্তায় মানুষজন বেশি থাকলেও ভাড়া কম। পুলিশের চেকপোস্টে ঝামেলা করার কারণে অনেকে রিকশায় উঠতে চায় না। হেঁটে চলে যাচ্ছে তাদের গন্তব্যে।’