যার জন্য আর্নিকের একযুগ অপেক্ষা!

সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »

একটা প্লেব্যাকের জন্য সুকণ্ঠী আর্নিককে খরচ করতে হলো টানা একযুগ! এমন নজির আর একটিও পাওয়া যাবে না এই ইন্ডাস্ট্রিতে সম্ভবত!
২০০৯ সাল থেকে প্রফেশনালি অডিও-স্টেজ ক্যারিয়ার শুরু করেন আর্নিক। গত একযুগ ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়মিত কাজ করেও মিলছিল না কাঙ্ক্ষিত প্লেব্যাকের দেখা। অবশেষে ১৮ নভেম্বর রাতে সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো। নাম লেখালেন প্লেব্যাকের খাতায়। গাইলেন টলিউড নায়ক বনি সেনগুপ্তের ঢালিউড ছবি ‘মানব দানব’-এর জন্য।
বজলুর রাশেদ চৌধুরীর কথায় গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন শামীম মাহমুদ। আর গানটিতে আর্নিকের সহশিল্পী হিসেবে থাকার কথা রয়েছে সময়ের আরেক জনপ্রিয় শিল্পী ইমরান মাহমুদুলের।
অবশেষে প্লেব্যাকে যুক্ত হতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত আর্নিক। বলেন, ‘যেকোনও সংগীতশিল্পীর স্বপ্নই থাকে সিনেমার জন্য গান করা। কারণ, ওই ক্যানভাসটা অনেক বড়। এটা ঠিক আমি সেই লক্ষ্য ছুঁতে অনেক সময় নিয়েছি। একটা সময় মনেই হতো আমি বুঝি প্লেব্যাক এই জনমে আর করতে পারবো না; আমি বোধয় প্লেব্যাকের যোগ্য নই। অবশেষে সেই অবিশ্বাসটা কাটলো এই গানটির মাধ্যমে। আমি খুবই খুশি।’
কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়মিত গান করেও প্লেব্যাকে যেতে ১২ বছর সময় লাগলো কেন! বিষয়টি বিস্ময়কর নয় কি? জবাবে আর্নিক বলেন, ‘সত্যি বলতে ফিল্ম জোনের কারও সঙ্গে আমার তেমন সংযোগ ছিল না। কিংবা প্ল্যান করে তেমন কারও সঙ্গে আমি যোগাযোগও করিনি। আমি শুধু অপেক্ষায় ছিলাম, কেউ আমার কণ্ঠ বা গান শুনে কোনও একদিন ডাকবে প্লেব্যাকের জন্য! মনে মনে একটা জেদও ছিল- কাউকে ধারণা দিয়ে গান করবো না। অবশেষে জয়ী হলাম। এটাই বড় আনন্দ।’
‘মান দানব’ ছবিতে কলকাতার নায়ক বনির বিপরীতে আছেন ঢাকাই নবাগতা শালুক। ছবিটি নির্মাণ করছেন বজলুর রাশেদ চৌধুরী। শাপলা মিডিয়ার ব্যানারে ছবিটির শুটিং চলছে চাঁদপুরের বিভিন্ন লোকেশনে।
২০০৯ সালে ‘নীলিমা’ অ্যালবাম দিয়ে দারুণ সূচনা হয় আর্নিকের। পরের বছরই প্রকাশ করেন দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘না বলা ভালোবাসা’। এরপর নিয়মিত সিঙ্গেল গান ও ভিডিও প্রকাশ হয় এই সুকণ্ঠীর। পান জনপ্রিয়তাও।
সম্প্রতি ব্যস্ত রয়েছেন ‘টিকটক’ নামের একটি মিউজিক ভিডিও নিয়ে। প্রকাশ করবেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে। ভিন্ন তথ্য হলো, গানের পাশাপাশি আর্নিক ক্যারিয়ার গোছাচ্ছেন করপোরেট কর্মকর্তা হিসেবেও! তিনি এখন কাজ করছেন হাক্কানি গ্রুপের সিস্টার কনসার্ন ‘স্মাইল টিস্যু’র ব্র্যান্ড ম্যানেজার হিসেবে। সঙ্গে স্টেজ শোয়ের ধারাবাহিকতাও রক্ষা করছেন নিয়মিত।
আর্নিক বলেন, ‘আমি আসলে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে ভালোবাসি। অফিস ও সংসারের কাজের সঙ্গে মিউজিক ও ফান আমার প্রাণস্পন্দন জোগায়। একমাত্র মেয়েকেও আমি আনন্দ নিয়ে গড়ে তুলছি। আমি চাই ও আমার আনন্দ ও উচ্ছলতার সঙ্গে বেড়ে উঠুক।’
প্রথম প্লেব্যাকের পর আর্নিকের মনোবাসনা, এখন থেকে স্বাধীন গানের পাশাপাশি সিনেমায়ও নিজেকে নিয়মিত করতে।