মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যের সঠিক ধ্বংস নিশ্চিত করতে হবে

কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ সুজনের

মেয়াদোত্তীর্ণ, নষ্ট বিদেশি পণ্য খোলা বাজারে বিক্রয় করছে একটি অসাধু চক্র। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকির চরম আশংকা রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে কাস্টমস কমিশনারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানালেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উপরোক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ধ্বংসের নামে নিষিদ্ধ ও আমদানিকৃত মেয়াদোত্তীর্ণ, নষ্ট বিদেশি পণ্যসমূহ পুনরায় চলে যাচ্ছে খোলা বাজারে। একশ্রেণীর অর্থলিপ্সু মানুষ মেয়াদোত্তীর্ণ, নষ্ট এসব মালামালগুলো সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রয় করছে। যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এছাড়া এসব পণ্য ব্যবহার করলে মৃত্যুঝুঁকিরও আশংকা রয়েছে। তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।
তিনি বলেন, দেখা যাচ্ছে যে এসব মেয়াদোত্তীর্ণ, নষ্ট বিদেশী পণ্যসমূহ ধ্বংস করার সময় জেলা প্রশাসন, সিএমপি, পরিবেশ অধিদপ্তর, বন্দর ও কাস্টমসের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক হলেও অনেক সময় এইসব সংস্থাকে না জানিয়ে ধ্বংসের নামে এসব পণ্য বাইরে পাচার করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে যা বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হয়। এছাড়া যে প্রক্রিয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ, নষ্ট পণ্যসমূহ ধ্বংস করা হচ্ছে তা মোটেও সঠিক নয়।
সুজন বলেন, একটি উন্মুক্ত খোলা জায়গায় কিভাবে এসব মেয়াদোত্তীর্ণ ও নষ্ট পণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। এতে করে স্বাস্থ্যঝুঁকির আশংকাও রয়েছে প্রবল। এভাবে উন্মুক্ত স্থানে এসব মেয়াদোত্তীর্ণ ও নষ্ট পণ্য ধ্বংস করার ফলে স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে আতংক বিরাজ করছে। তাছাড়া ওই জায়গাটিতে কোন প্রকার সীমানা প্রাচীরও নির্মাণ করা হয়নি। মালামালগুলো পাহারা দেওয়ার জন্য নেই কোন প্রহরী। তাই এসব পণ্যের সঠিক ধ্বংস নিশ্চিত করতে হবে।
পাশাপাশি এসব পণ্য যাতে পুনরায় বাজারজাত করতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর নিকট অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, এসব মালামালগুলো ধ্বংস করার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্দিষ্ট ডাম্পিং গ্রাউন্ড ব্যবহার করা হলে সরকার এ থেকে প্রচুর রাজস্ব পাবে এবং কত কন্টেইনার মালামাল ধ্বংস করা হয়েছে তার একটি তথ্যও সংরক্ষিত থাকবে।
তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে অনুধাবন করে কোন প্রকার কালক্ষেপণ না করেই সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান তিনি।
নচেৎ জনসাধারণের কোন ধরনের স্বাস্থ্যহানি কিংবা মৃত্যুঝুঁকির পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এর দায় দায়িত্ব সম্পূর্ণ কাস্টমস কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি