মেসিকে কম বেতনে খেলতে হবে বার্সাতে

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
প্রথমে বেতন স্থগিতের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। খেলোয়াড়েরা তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এরপর বেতন কমানোর চেষ্টা চলছে। বেশির ভাগ খেলোয়াড় তাতেও রাজি নন। এদিকে বেতন না-কমালে নতুন বছরে দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ভুগছে বার্সেলোনা। সেই কারণে লিওনেল মেসিদের কম বেতনে খেলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হল।
বেতন কমানো নিয়ে লিওনেল মেসি-আঁতোয়ান গ্রিজমানদের যে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না আগেই জানিয়ে দিয়েছেন বার্সেলোনা পরিচালনা কমিটির প্রধানের দায়িত্বে থাকা কার্লেস তুসকেতস। এবার বার্সার সভাপতি হওয়ার দৌড়ে থাকা টনি ফ্রেইজা একই কথা বললেন। আর্জেন্তাইন তারকাকে তার বর্তমান পারিশ্রমি দিয়ে ক্লাব ধরে রাখতে পারবে না। অর্থাৎ বার্সাতে খেলতে হলে কম বেতনে খেলতে হবে মেসিকে।
লিওনেল মেসির কাছে এমনই প্রস্তাব দেওয়া হল ক্লাবের তরফে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মরশুমেই অন্য ক্লাবের জার্সিতে দেখা যেত মেসিকে। ক্লাব ছাড়ার মন স্থির করে ফেলেছিলেন আর্জেন্তাইন তারকা ফুটবলার। তবে চুক্তির জটিলতায় বার্সাতে থেকে যেতে বাধ্য হয়েছেন মেসি।
বার্সা সভাপতির পদ ছেড়েছেন জোসেপ মারিয়া বার্তোমিউ। ফ্রেইজা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। সংবাদমাধ্যম ‘এল কুরুবিতো’কে তিনি বলেন, বর্তমান চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে হলে মেসিকে বেতন কমাতে হবে। এ মরশুম শেষেই মেসির চুক্তির মেয়াদ ফুরোবে। এরপর তিনি বার্সায় থাকবেন কি না তা নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে।
তবে বার্তামিউ ছেড়ে দেওয়ার পর বার্সা চাইছে মেসির চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে। তবে বেতনে কাটছাঁট করতে হবে। বার্সার প্রেসিডেন্টের দৌড়ে থাকা টনি ফ্রেইজা জানিয়ে দিয়েছেন, মেসি যদি ক্লাবে থাকতে চায় তাহলে বেতন কমাতে হবে।
তিনি স্প্যানিশ প্রচার মাধ্যমে বলেছেন, ‘লিও’র সঙ্গে আমরা শান্তভাবে ক্লাবের এই দুঃসময়ে কথা বলব। আমাদের প্রস্তাব থাকবে এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ অর্থ ও পেয়ে এসেছে তা আমরা আর বহন করতে পারছি না। তাই কাটছাঁট করতে বলা হবে। সদস্যদের সমস্ত কিছু জানা প্রয়োজন। ক্লাবের উপার্জন অস্বাভাবিক হারে কমে গিয়েছে। আমাদের নতুন কোনো ফর্মুলা বের করতেই হবে।’
মেসিকে ক্লাবে রাখতে মরিয়া বার্সা। এর অন্যতম কারণই হল ব্র্যান্ড ভ্যালু। মেসি শুধু বার্সা নয়, স্প্যানিশ লিগেরও অন্যতম আকর্ষণ। কোনও কারণে মেসি ক্লাব ছাড়লে বার্সার ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ফুটবল দুনিয়ায়। সেই আশঙ্কাতেই এখন ক্লাব এবং সমর্থকদের।
বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ৫ লক্ষ ইউরো বেতন পেয়ে থাকেন। তবে বার্সা অতিমারীর কারণে আপাতত ৭০০ মিলিয়ন ইউরো দেনায় ডুবে রয়েছে। খরচের অধিকাংশ যেহেতু খেলোয়াড়দের বেতনেই ব্যয় হয়, এ খাতেই খরচ কমানোর সর্বোচ্চ সুযোগ তাদের। ১০০ কোটি পাউন্ড তারা বেতনের পেছনেই খরচ করে। করোনাভাইরাসের মধ্যে মাঠে দর্শক ফেরাতে না-পারায় ক্লাবকে যেভাবেই হোক ৩০ কোটি ইউরো খরচ কমিয়ে আনতে হবে। খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।