মেলার জন্য স্থায়ী ভেন্যু বরাদ্দ করা হবে

নগরে বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনে তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক »

বাংলাদেশের জিডিপি ৮০ বিলিয়ন থেকে ৪৭৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। একই সাথে বেড়েছে মাথাপিছু আয়ও। এসবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বগুণে। চিটাগং চেম্বারের মত এতো সফলভাবে কোন ট্রেডবডি মেলা আয়োজন করতে পারেনি। এ মেলার জন্য একটি স্থায়ী ভেন্যুর প্রয়োজন অনস্বীকার্য উল্লেখ করে তিনি বে-টার্মিনালের বিপরীতে এ মেলার জন্য একটি স্থায়ী ভেন্যু দ্রুত বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে বলে জানান এবং আগামী বছর থেকে সেখানে সিআইটিএফ আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৩০তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এমএ লতিফ এমপি, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, চেম্বার পরিচালক ও সিআইটিএফ-২০২৩ এর চেয়ারম্যান এ কে এম আকতার হোসেন।

মন্ত্রী চট্টগ্রামের হামিদচরে পার্কিং সুবিধাসহ মেলা আয়োজনের জন্য একটি স্থায়ী কনভেনশন হল স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি পবিত্র রমজানসহ সকল ধর্মীয় উৎসবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না করতে এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে কঠোর হওয়ার আহবান জানান।

বিশেষ অতিথি সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন সংস্থাসহ সিটি করপোরেশন ১০ হাজার কোটি টাকার এবং চাক্তাই থেকে বড়াইপাড়া পর্যন্ত ১৩শ কোটি টাকা ব্যয়ে খাল খনন করার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর স্থায়ী ও টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে সকল শ্রেণির পরামর্শ এবং সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি চট্টগ্রামকে নান্দনিক ও পরিবেশবান্ধব মডেল শহর হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

তিনি শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি করে খেলার মাঠ গড়ে তোলার কার্যক্রম গ্রহণ করা এবং ইতোমধ্যে ২টি ওয়ার্ডে তা বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানান।

বিশেষ অতিথি এম এ লতিফ বলেন, চিটাগং চেম্বার দীর্ঘদিন যাবৎ বাণিজ্য মেলা আয়োজনে তার পরিচ্ছন্ন ইমেজ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে যার ফলে সারা দেশ থেকে ছোট বড় ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ও শিল্পায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে, অবকাঠামো উন্নয়ন বেড়েছে।

বিশেষ অতিথি এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জন করতে আমাদের রপ্তানি ৩০০ বিলিয়ন ডলার করার পাশাপাশি শিল্পায়ন ও এসএমই খাতের উন্নয়ন করতে হবে। দেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় বেসরকারি খাতের অবদান ৮০% উল্লেখ করে তিনি ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নে ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন বলে জানান।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বেসরকারি খাতের উন্নয়নে সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব ধরনের অনুমোদন, চট্টগ্রাম থেকে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে প্রদানের ব্যবস্থা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

চেম্বার পরিচালক ও সিআইটিএফ চেয়ারম্যান এ কে এম আকতার হোসেন মেলার সার্বিক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে বক্তব্য প্রদান করেন। চেম্বার পরিচালক ও সিআইটিএফ-কমিটির কো-চেয়ারম্যান মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন) ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

মাসব্যাপী এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা পলোগ্রাউন্ডে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।