‘মুজিব’র হল সংখ্যা বেড়ে ১৬১

বিনোদন ডেস্ক »

সাধারণত মুক্তির এক সপ্তাহ পরে কোন ছবির হল সংখ্যা বাড়ে। তবে দর্শকদের অতিরিক্ত চাহিদার কারণে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবির হল সংখ্যা বাড়লো। এ সংখ্যা ১৫৩ থেকে ৮টি বেড়ে ১৬১ তে দাঁড়িয়েছে। ছবিটি পরিবেশনা করছে দেশের বছর বড় চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক জাজ মাল্টিমিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আবদুল আজিজ সারাবাংলাকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মুক্তির মাত্র ৪ দিনের মাথায় এসে কোনো ছবির হল সংখ্যা এভাবে বাড়ছে তা আমি এর আগে কখনই দেখিনি। সারাদেশ থেকে অনেক বন্ধ হল মালিকরাও তাদের সিনেমা হলে ছবিটি চালাতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। এটি আমাদের জন্য সুখবর। তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষ, মুক্তিযোদ্ধা ও নারীরা আসছে ছবিটি দেখতে।’

তিনি আরও বলেন, আমি প্রায় এক যুগ ধরে সিনেমা ব্যবসা ও পরিবেশনার সঙ্গে যুক্ত। এটিই প্রথম ছবিটি যেটি সকল হল মালিক প্রফিট শেয়ারে নিয়েছেন। সাধারণ হল মালিকরা ফিক্সডে নিতে চান। কারণ এতে তাদের লাভ। কিন্তু শুরু থেকে আমরা একটু কঠোর ছিলাম। যার কারণে ছবির প্রযোজক অনেকটা লাভবান হবেন। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এ সিনেমাটিতে দেশবিদেশের দুই শতাধিক অভিনয়শিল্পী অভিনয় করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ সিনেমাটির ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই সময় জানানো হয়, এটি নির্মাণ করবেন বলিউডের নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। এর চিত্রনাট্যকার হিসেবে যুক্ত হন বলিউডের অতুল তিওয়ারি।

ঘোষণার সময়ই নিশ্চিত করা হয়েছিল যে, এই সিনেমার বেশিরভাগ শিল্পী বাংলাদেশ থেকে নেওয়া হবে। এরপর ২০২০ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাস ধরে অডিশনের মাধ্যমে বাছাই করা হয় শিল্পী। বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের জন্য ১৫ জন শিল্পীর অডিশন নেওয়া হয়েছিল।

তার মধ্যে পাঁচবার অডিশন শেষে আরিফিন শুভকে চূড়ান্ত করা হয়। এর মধ্যে দুবার অডিশন দিয়েছিলেন ভারতে, তিনবার বাংলাদেশে।
২০২১ সালে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এর শুটিং শুরু হয়। এতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুজন। কৈশোরের খোকা (বঙ্গবন্ধুর ছোটবেলার ডাক নাম) হয়েছেন দিব্য জ্যোতি। আর তরুণ মুজিব থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যে চরিত্র সেটি করেছেন আরিফিন শুভ।

‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এ বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনজন। ১৩ বছরের আগ পর্যন্ত পর্দায় তার চরিত্রে দেখা যাবে একজন শিশুশিল্পীকে। কিশোরী বয়সী (১৩-১৭ বছর) চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। এরপর থেকে নুসরাত ইমরোজ তিশা।