মিরাজুলের হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশের হ্যাটট্রিক জয়

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »

প্রথম ম্যাচের জয়ের নায়ক মিরাজুল ইসলাম মালদ্বীপের বিপক্ষেও জ্বলে উঠলেন। উপহার দিলেন দারুণ এক হ্যাটট্রিক। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি আসরে বড় জয়ের উৎসবে মাতল বাংলাদেশও। ভারতের ভুবনেশ্বরের কালিংগা স্টেডিয়ামে গতকাল শুক্রবার রাতে মালদ্বীপকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কাকে ১-০ গোলে হারিয়ে আসর শুরু করা পল থমাস স্মলির দল স্বাগতিক ভারতকে হারিয়েছিল ২-১ ব্যবধানে। টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে নেপাল। রাউন্ড রবিন লিগে নিজেদের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে আগামী মঙ্গলবার তাদেরই মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। খবর বিডিনিউজের

শুরু থেকে আক্রমণের পসরা মেলে মালদ্বীপকে কোণঠাসা করে ফেলে বাংলাদেশ। দ্বাদশ মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পায় দল, কিন্তু মালদ্বীপ গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় গোল মেলেনি। রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বক্সের উপর থেকে মঈনুল ইসলাম মঈনের শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান মালদ্বীপ গোলরক্ষক শাইহান আলি। ১৯তম মিনিটে গোল পেয়ে যায় বাংলাদেশ। বক্সের ডান দিক থেকে পিয়াস আহমেদ নোভার শট শাইহান ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি শটে ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে দেন মিরাজুল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ে শুরুর ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। এগিয়ে যাওয়ার পর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশকে। মিরাজুলে সাওয়ার হয়ে ছুটতে থাকে বড় জয়ের পথে। ২২তম মিনিটে রফিকুলের ক্রসে মুর্শেদ আলী হেডে বল বাড়িয়ে দেন গোলমুখে।

মিরাজুলের প্রথম শট ক্রসবারে লেগে ফেরার পর ফিরতি শট ঠিকই খুঁজে নেয় ঠিকানা। ৩২তম মিনিটের গোলে চালকের আসনে বসে যায় বাংলাদেশ। বাঁ দিক থেকে মিরাজুলের নিঁচু করে নেওয়া ক্রস ফাঁকায় থাকা রফিকুল জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন। বিরতির আগেই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন মিরাজুল। মালদ্বীপকে আরও কোণঠাসা করে ফেলে বাংলাদেশ। ভারত ম্যাচে জোড়া গোল করা পিয়াসের পাসে মিরাজুলের শট মালদ্বীপ গোলরক্ষক প্রথম দফার ফেরালেও তার ফিরতি শট আটকাতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ্য পায় মালদ্বীপ। শাভিন হুসেনের থ্রু পাস বক্সে পেলেও জাইন জাফর শুরুতে ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি।

গোলরক্ষক ও এক ডিফেন্ডারও পারেননি ক্লিয়ার করতে, কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়ায় ফের পাওয়া বল কোনাকুণি শটে জালে জড়ান জাইন। একটু পরই ডান দিক থেকে পিয়াস বক্সে ক্রস বাড়িয়েছিলেন, কিন্তু ঠিক পজিশনে না থাকায় মিরাজুল পাননি টোকা দিতে। বল বেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট দিয়ে। বাকিটা সময়েও মালদ্বীপের রক্ষণে চাপ ধরে রাখে বাংলাদেশ। তবে ব্যবধান বাড়ানোর খুব মরিয়া চেষ্টা ছিল না দলের। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে পিয়াসের সামনে সুযোগ এসেছিল গোলের খাতা খোলার। কিন্তু দুই বার প্রতিপক্ষের গায়ে মেরে বসেন তিনি।