মালদ্বীপে দক্ষ জনবল নিয়োগের আহ্বান

চেম্বার সভাপতির সাথে মালদ্বীপ হাই-কমিশনারের মতবিনিময়

বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাই-কমিশনার শিরুজিমাথ সামির দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলমের সাথে গতকাল বিকেলে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
এ সময় সাউথ ইস্ট এশিয়ান কো-অপারেশন (সিয়াকো) ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশের নির্বাহী চেয়ারম্যান সালাহ্উদ্দীন কাসেম খান, হাইকমিশনের থার্ড সেক্রেটারি ফাথিমাথ মোহামেদ ও চেম্বার সচিবালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হাই-কমিশনার শিরুজিমাথ সামির বলেন, দুই দেশের ব্যবসা বাণিজ্য মূলত জি টু জি পর্যায়ে সীমাবদ্ধ। তাই ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে বেসরকারি খাতের সম্পর্ক উন্নয়নে বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের নিয়মিত সফর বিনিময় অত্যন্ত জরুরি। মালদ্বীপে প্রতিবছর কয়েক লাখ পর্যটক ভ্রমণ করে তাই সে দেশে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের বাজার সৃষ্টির চমৎকার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে উভয় দেশ একসাথে কাজ করতে পারে। ১ লাখের অধিক বাংলাদেশি প্রবাসী মালদ্বীপের অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে জানিয়ে তিনি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে বাংলাদেশ সরকারের প্রেরিত ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আগামী দিনে উভয় দেশের সম্পর্ক আরো উন্নত হবে বলে প্রত্যাশা করেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে সমুদ্র পথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন, আকাশ পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম-মালে যোগাযোগ স্থাপন, অশুল্ক বাঁধা দূরীকরণ, পর্যটন খাতে সহযোগিতা বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি উভয় দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে মালে চেম্বার অব কমার্স এর সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন। বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করতে তিনি বাংলাদেশি পণ্য আমদানি বৃদ্ধির অনুরোধ জানান। চট্টগ্রামে সমুদ্র বন্দর, বৃহৎ শিল্পসমূহ এবং নির্মাণাধীন অর্থনৈতিক অঞ্চলের কথা জানিয়ে মালদ্বীপের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান। উচ্চ শিক্ষাখাতে চট্টগ্রামে অবস্থিত এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটিতে মালদ্বীপের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারে বলে মন্তব্য করেন এবং মালদ্বীপে আরো বেশি দক্ষ বাংলাদেশি জনবল নিয়োগের আহ্বান জানান চেম্বার সভাপতি। সিয়াকো ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশের নির্বাহী চেয়ারম্যান সালাহ্উদ্দীন কাসেম খান উভয় দেশের মধ্যে কোস্টাল শিপিং লাইন স্থাপনের প্রস্তাব করেন এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা ও আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। মতবিনিময় শেষে রাষ্ট্রদূত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের পারমানেন্ট এক্সিবিশন হল পরিদর্শন করেন। বিজ্ঞপ্তি