মায়ের সঙ্গে চলে গেল দুই সন্তানও

মশার কয়েল থেকে ঘরে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর বায়েজিদ এলাকায় বসতঘরে মশার কয়েল থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ হয়ে দুই সন্তানসহ এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১ জন।
গতকাল রোববার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে বায়েজিদ থানার পূর্ব শহীদনগরে দেলোয়ার কোম্পানির বাড়িতে আগুন লাগার এ ঘটনায় নূর নাহার বেগম (৩০) ও তার দুই সন্তান ফারিয়া (৩) ও মারুফের (১) মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বায়েজিদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, ‘আধা পাকা ঘরে ৬টি কক্ষের টিনশেড বাসাটি দেলোয়ার কোম্পানির। সেখানে নিম্নবিত্তরা বসবাস করেন। তারই একটি কক্ষে দুই সন্তানসহ বাস করতেন নূর নাহার বেগম (৩০)। নিহতের স্বামী সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক।

অগ্নিকাণ্ডের সময় তিনি বাইরে ছিলেন। আগুন লাগার পর ৬-৭ মিনিট পর টের পান পাশের রুমে থাকা ইমাম উদ্দিন (২৩)। তিনি নিহত নূর নাহার বেগমের ভাই। টের পেয়ে তৎক্ষণাৎ বোন এবং ভাগ্নেদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই বাচ্চাসহ মায়ের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ইমাম উদ্দীনও আহত হন। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়ি ফিরেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। তবে সড়ক সরু হওয়ায় শুধুমাত্র একটি গাড়ি দিয়েই আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চলে। প্রায় ৪৫ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর দেখা যায় মশার কয়েলের আগুন বিদ্যুতের তারে লেগে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই বাড়ির ৬টি কক্ষই পুড়ে যায়।’

এ প্রসঙ্গে চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. রফিক উদ্দীন বলেন, ‘বায়েজিদে আগুনে পুড়ে যাওয়া শিশুসহ ৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে দুই শিশু ও মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। তিন জনের শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল আটটায় নূর নাহার মারা যান। পরে ৯টার দিকে তার দুই সন্তানই মারা যায়। আহত ১ জনের ৫ শতাংশ পুড়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’