মহামারিকালেও স্পাইডারম্যানের চমক!  

সুপ্রভাত ডেস্ক »

ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার ফলে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার প্রতি ভীতি কাজ করা সত্ত্বেও, প্রিমিয়ারের মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই বিলিয়ন ডলার আয়ের রেকর্ড গড়েছে সনি ও ডিজনির যৌথ প্রযোজনার এই ছবি।

মহামারিকালে প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয়ের রেকর্ড গড়েছে সদ্য মুক্তি পাওয়া স্পাইডারম্যান ফ্র্যাঞ্চাইজির চলচ্চিত্র। এরই মধ্যে ২০২১ সালের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল ছবির খেতাবও দখল করেছে ‘স্পাইডার-ম্যান: নো ওয়ে হোম’।

স্পাইডার-ম্যান মুক্তির আগপর্যন্ত চীন নির্মিত কোরিয়ান যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘দ্য ব্যাটল অব লেক চ্যাংজিন’ ছিল ২০২১ সালের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল ছবি। বক্স অফিসে এটির আয় ছিল ৯০৫ মিলিয়ন ডলার।

ডেটা অ্যানালিটিকস ফার্ম কমস্কোর সূত্রে জানা যায়, এর আগে সর্বশেষ ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করা চলচ্চিত্র ছিল ‘স্টার ওয়ারস: দ্য রাইস অব স্কাইওয়াকার’ যা ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল।

কিন্তু গত দুই বছর যাবত করোনা মহামারির আঘাতে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে হলিউড ইন্ডাস্ট্রি। তাই এই সময়ের মধ্যে অন্য কোনো ছবিই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেনি।

এদিকে মাত্র সপ্তাহখানেকের মধ্যেই মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের ছবি স্পাইডার-ম্যানের আয় ১ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার।

ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার ফলে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার প্রতি ভীতি কাজ করা সত্ত্বেও, প্রিমিয়ারের মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই রেকর্ড গড়েছে সনি ও ডিজনির যৌথ প্রযোজনার এই ছবি।

সবচেয়ে বড় চমক হলো, এখনও পর্যন্ত ছবিটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সিনেমা বাজার চীনে মুক্তিই দেওয়া হয়নি। চীনে মুক্তির পর স্পাইডার-ম্যানের আয় কত দাঁড়াবে তা হয়তো এখনও পাঠকের কল্পনার বাইরে!

‘স্পাইডার-ম্যান: নো ওয়ে হোম’-এ পিটার পার্কারের তৃতীয় পুনরাবির্ভাব হিসেবে হাজির হয়েছেন টম হল্যান্ড। একই সাথে ছবিতে আছেন জেনডায়া এবং ডক্টর স্ট্রেঞ্জ রূপে বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ। জেনডায়ার এমজে’র পাশাপাশি স্পাইডার-ম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন টম।

২০১৯ সালের ‘স্পাইডার-ম্যান: ফার ফ্রম হোম’ ছবিতে দেখা যায়, ভিলেন মিস্টেরিও পার্কারের মৃত্যুর আগে তার মুখের মাস্ক খুলে ফেলেন। এর পর থেকেই এগিয়েছে নতুন পর্বের কাহিনী।

‘স্পাইডার-ম্যান: নো ওয়ে হোম’ মুক্তির আগে ৭৭৪ মিলিয়ন ডলায় আয় নিয়ে ২০২১ সালের এবং মহামারিকালীন সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল হলিউড ছবি ছিল জেমস বন্ড চলচ্চিত্র ‘নো টাইম টু ডাই’।

সূত্র: বিবিসি