ভয় নয়, সচেতনতা প্রয়োজন

কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু

দেশব্যাপী টিকা প্রদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামেও করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। টিকা প্রদান কার্যক্রম বিভিন্ন উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়। আমাদের উপজেলা প্রতিনিধিরা এই সংবাদ পাঠান।

আনোয়ারা :

আনোয়ারায় প্রথম করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও শেখ  জোবায়ের আহমেদ। রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সর্বপ্রথম নিজে টিকা গ্রহণের মাধ্যমে করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে উপজেলার মানুষের জন্য ১৫ হাজার ৫২৪ ডোজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইপিআই স্টোর রুমে সংরক্ষণে রাখা হয়েছে। টিকা প্রদানের জন্য নারী-পুরুষদের আলাদা দু’টি বুথ করা হয়েছে। প্রতিটা বুথে ৬ জন করে সদস্য থাকবে। প্রতিটি টিমে দুই জন করে টিকাদানকারী এবং চারজন করে ভলান্টিয়ার কাজ করছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে।

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহিদ মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন জানান, প্রথম দিন ১৪৫ জনের অনলাইনে আবেদন পাওয়া গেছে। প্রতি ইউনিয়নের কমিউনিটি হেলথ  কেয়ার প্রোভাইডারদের মাধ্যমে অথবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেও অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং যারা রেজিস্ট্রেশন করবেন তারাই এ টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। সাথে করে নিয়ে আসতে হবে টিকা গ্রহণের সম্মতিপত্র।

চকরিয়া :

উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সাড়ে ৬ লাখ জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিতে সারাদেশের মতো কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলাতেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি কার্যক্রম উদ্বোধনের প্রথমদিনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হক এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহ ফাহিম আহমদ ফয়সালসহ মোট নয়জন করোনা যোদ্ধা ( হাসপাতালের কর্মকর্তা,কর্মচারী) কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করেছেন। চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হক এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহ ফাহিম আহমদ ফয়সাল কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের মধ্যদিয়ে কার্যক্রমের সুচনা করা হয়। টিকা প্রদান কার্যক্রমের সূচনার বিষয়টি নিশ্চিত করে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরিজ বলেন, উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সাড়ে ৬ লাখ জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিতে সারাদেশের মতো কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলাতেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে সর্বসাধারণকে টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা কার্যক্রম উদ্বোধনের প্রথমদিনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হক এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহ ফাহিম আহমদ ফয়সালসহ মোট নয়জন করোনা যোদ্ধাকে কোভিড-১৯ টিকা দিয়েছি।

আশাকরি উপজেলাবাসী টিকা প্রদানে উৎসাহিত হবেন এবং উপজেলা হাসপাতালে এসে রেজিস্ট্রেশন করবেন। তিনি বলেন, আমরা সারাদেশব্যাপী ভ্যাকসিন কার্যক্রম উদ্বোধনের অংশ হিসেবে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রমের সূচনা করেছি। পর্যায়ক্রমে উপজেলার  সকল ইউনিয়নের সাথে আমরা ধাপে ধাপে করোনা ভ্যাকসিন প্রোগ্রামে যুক্ত হবো।’ কোভিড-১৯ টিকা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। এর পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই। ইতোমধ্যে দেশব্যাপী যারা টিকা নিয়েছেন সবাই ভালো আছে সুস্থ আছেন।

পেকুয়া :

কক্সবাজারের পেকুয়ায় কোভিড ১৯ টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে ৭  ফেরুয়ারি সকাল ১০ টায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে­ক্সের হলরুমে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছাবের আহমদের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোতাছেম বিল্যাহ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর  মজুমদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আর এমও মজিবুর রহমান, ডা. মোজাম্মেল হোসেন, ডা.মাহাফুজুর রহমান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী  নেজাম উদ্দিন, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোহা কাউছারসহ কর্মকর্তা ও নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীগণ।

এসময় ইউএনও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা অন্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশকে  কোভিড ১৯ মুক্ত করার জন্য এ প্রথম  কোভিড ১৯ এর টিকার কার্যক্রম শুরু করছেন। তিনি সকলকে টিকা গ্রহণ করে কোভিড ১৯ মুক্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেন।

পরে ইউএনও মোতাছেম বিল্লাহ নিজেই টিকা গ্রহণ করে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এর পরই ইউ এনও মোতাছেম বিল্লাহ ও পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছাবের আহমদসহ  পেকুয়া থানার ২০ পুলিশ সদস্য এ টিকা গ্রহণ করেন। ডা. ছাবের আহমদ বলেন, এ টিকা গ্রহণ করলে কোন সমস্যা হবে না এতে চিন্তা বা ভয়ের কোন কারণ নেই। প্রথমে জ্বর থাকবে এতে জ্বরের স্বাভাবিক ওষুধ সেবন করবেন।