ভারতের কাছে দুই কোটি ভ্যাকসিন পাওনা আছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

সুপ্রভাত ডেস্ক »

সরকার লকডাউনের উপর নির্ভরশীল হতে চায় না কিন্তু বাধ্য হয়ে দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় তার বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের টিকা পরিস্থিতি এবং লকডাউন নিয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন।

আগামী সোমবার থেকে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের সরকারি ঘোষণার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “যদি আপনার হাতে ভ্যাকসিন না থাকে তাহলে লকডাউনই করোনা সংক্রমণ রোধে একমাত্র কার্যকরী পন্থা। বিশ্বের সকলেই লকডাউন দিয়ে করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।” খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সরকার লকডাউনের উপর নির্ভরশীল হতে চায় না কিন্তু বাধ্য হয়ে তা দিতে হয়।

জাহিদ মালেক বলেন, লকডাউনের মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি হয়। দেশের বিরাট ক্ষতি হয়ে যায়। কাজেই এটা আমাদের কাম্য নয় কিন্তু মানুষের জীবন রক্ষার্থে করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে লকডাউন দিতে হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে কথার পিঠে তিনি দেশের টিকা পাওয়ার সম্ভাবনার হিসেব তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন যে সংখ্যায় চাই সে সংখ্যায় পাই না।

“আমরা ভারতের সাথে তিন কোটি ভ্যাকসিনের চুক্তি করেছিলাম, পেয়েছি মাত্র ৭০ লাখ। আর তারা উপহার দিয়েছিলেন ৩০ লাখ। এখনো দুই কোটি পাওনা আছে।

“চীনের সাথে দুই কোটি চুক্তি আছে। সব মিলিয়ে ৬ কেটি ৮০ লাখি বুকিং দেওয়া আছে।”

সব দেশ তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টিকা পাঠালে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ১১ কোটি ভ্যাকসিন হাতে আসতে পারে বলে জানান এ মন্ত্রী।

জাহিদ মালেক আরও বলেন, চীনের সিনোফার্ম কোম্পানির সাথে চুক্তি হয়েছে। সেখান থেকে খুব তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন আসবে। সংখ্যাটা এ মুহূর্তে বলা না গেলেও একটা ভালো সংখ্যা হবে বলে আশা করছি।

দেশে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সরকার এ বিষয়ে খুবই আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সভাও হয়েছে।

গোপালগঞ্জে সরকারি ওষুধ কারখানার পাশে দেশীয় টিকা তৈরির কারখানা স্থাপন হবে। দেশীয় টিকা উৎপাদন সময় সাপেক্ষ হলেও ‘ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে’।

আমাদের দেশে সরকারের সাথে অথবা কোনো বেসরকারি কোম্পানির সাথে যৌথভাবে টিকা তৈরি করার জন্য রাশিয়া ও চীনকে প্রস্তাব দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী দিন দশেকের মধ্যে মডার্নার ভ্যাকসিন বাংলাদেশের পৌঁছাবলে বলে আশা তার।

তাপমাত্রা মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এ টিকা সংরক্ষণ করতে হয় জানিয়ে তিনি যোগ করেন, “মডার্নার ভ্যাকসিন খুবই ভালো ভ্যাকসিন। সে ব্যবস্থাও ইতোমধ্যে করা হচ্ছে।”