ভাই-বোনের লাশ উদ্ধার

বান্দরবানে পাহাড়ধস

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান »

বান্দরবানে পাহাড়ধসে নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে মেয়ে বাজেরুং ত্রিপুরা (১২) ও ছেলে প্রদীপ ত্রিপুরার (৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বান্দরবান রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সদস্য, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর গতকালবৃহস্পতিবার সকালে তাদের উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো সন্ধান মেলেনি তাদের মা কৃষ্ণাতি ত্রিপুরার (৪২)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়,প্রবল বর্ষণের সময় বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জুম থেকে কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে গোসল করতে সাংগাই ঝিরিতে যায় মা মেয়েসহ একই পরিবারের ৪ জন। এসময় প্রবল বর্ষণের কারণে পাহাড়ের মাটি চাপা পড়ে নিখোঁজ হয় মা কৃষ্ণাতি ত্রিপুরা, মেয়ে বাজেরুং ত্রিপুরা ও ছেলে প্রদীপ ত্রিপুরা। এঘটনায় মাটি চাপা পড়ে আহত হয়ে অজ্ঞান হয়ে বোন রাঙ্গাতি ত্রিপুরা। অনেক্ষণ পর রাঙ্গাতি ত্রিপুরার জ্ঞান ফিরে এলে সে উঠে বোন ও বোনের  ছেলে মেয়েদের দেখতে পায়নি। পরে গিয়ে এলাকায় খবর দিলে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাদের না পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস পুলিশ ও  রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা  প্রায় ১৩ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালানোর পর গতকাল সকালে লাইমি পাড়া এলাকায় ঝিরি থেকে মেয়ে বাজেরুং ত্রিপুরার লাশ ও সাঙ্গু নদীর মুখ ঝিরি থেকে প্রদীপ ত্রিপুরার লাশ উদ্ধার করে।

স্থানীয় মেম্বার জগদীশ ত্রিপুরা জানান, ভোর ৫টা পর্যন্ত পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে চলে যায় কিন্তু স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযান চালু রাখে। পরে সকালে মেয়ে ও ভাইয়ের লাশ দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আবারো ঘটনাস্থলে আসে এবং মা কৃষ্ণাতি ত্রিপুরাকে উদ্ধারে অভিযান চালায়। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত অভিযান চালানোর পর আবারো বন্ধ করে দেয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

এ বিষয়ে বান্দরবান   ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার নাজমুল আলম বলেন, ভাই-বোন দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিকাল পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত ছিল। বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান সাময়িক বন্ধ রেখেছি, আবারো উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সোহাগ রানা জানান, নিখোঁজ ৩ জনের মধ্যে ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিখোঁজ অপরজনকে উদ্ধারেও অভিযান অব্যাহত থাকবে।