বিএনপি ও সমমনাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার প্রকল্প

আবদুল মান্নান »

সাধারণ সময়ে আমার খুব বেশী টিভি দেখা হয় না। কিন্তু এই করোনা কালে যেহেতু দীর্ঘদিন এক কথায় স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি সেহেতু কাজের ফাঁকে রাতে একটি টিভি চ্যানেলের মাঝে মাঝে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান বা টকশো দেখি ও শুনি । ক’দিন আগে এমন একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বিএনপি’র একজন আইনজীবী নেতা এসেছিলেন। উপলক্ষ্য বিএনপি’র ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দলটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি । রেওয়াজ অনুযায়ী টিভির কোন অনুষ্ঠানে একজন বিএনপি’র নেতা অংশগ্রহণ করলে তার প্রতিপক্ষ হিসেবে একজন আওয়ামী লীগের নেতাও থাকা চাই এতে নাকি অনুষ্ঠানের ভারসাম্যতা রক্ষা করা হয়। কোন কোন অনুষ্ঠান বেশ আনন্দদায়ক হয় কারণ যিনি কথা বলছেন তিনি কি নিয়ে কথা বলছেন তা বুঝতে কষ্ট হয়। আবার দুই একজন অংশগ্রহণকারি আছেন তারা কথায় কথায় সঞ্চালককে ধমক দেন আর বলেন তাদের অনুষ্ঠানে তিনি আর কখনো আসবেন না। কিন্তু ডাক পেলে ঠিকই আসেন। সেদিনের অনুষ্ঠানে বিএনপি’র সেই আইনজীবীকে যখন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মনে করিয়ে দিলেন বিএনপি’র জন্ম সেনা ছাউনিতে সে কারণে তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। বিএনপি নেতা বেশ উত্তেজিত হয়ে বলেন সেনা ছাউনিতে হয়েছে তাতে কোন সমস্যা নেই বাঈজি বাড়িতেতো আর হয় নি। তিনি কি বললেন তা বুঝা গেল না। বিএনপি’র অন্যতম আদর্শ দল মুসলিম লীগের জন্ম বাঈজি বাড়ীতে হয়েছিল। মুসলীম লীগ গঠিত হয়েছিল ঢাকার নবাবদের জলসা ঘরে যা এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন।
বিএনপির ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বেশ কিছু সভা সমাবেশ হয়েছে। বক্তব্য রেখেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। বক্তব্য একইি দেশে এখন এক দলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। গণতন্ত্র এখন নির্বাসিত, তাকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। বিএনপি’র মহাসচিব জানালেন তিন ডলারের টিকা দশ ডলারে কিনছে সরকার। সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তবে তিনি যদি কোন দেশ বাংলাদেশের চেয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে আরো বেশী সফল হয়েছে বলে উদাহরণ দিতেন তা হলে তা বুঝতে মানুষের সহজ হতো। বিএনপি’র স্বঘোষিত উপদেষ্টা আছেন বেশ ক’জন। একজন ডাক্তার উপদেষ্ঠা আছেন যিনি সকাল বিকাল একই বিষয় নিয়ে তিন ধরণের কথা বলতে পারেন। একবার একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে একটি অসত্য মন্তব্য করলে সেই ব্যক্তি সেই ডাক্তার মহাশয়ের কাছে এই ব্যাপারে জানতে চাইলে তার সোজা উত্তর ‘বয়স হয়েছেতো মাঝে মধ্যে বডিতে সোডিয়াম (লবণ) কমে যায় তখন অনেক সময় এই ধরণের কথা বলে ফেলি‘। মজার বিষয় হচ্ছে তিনি যখন বিএনপি’র পক্ষ নিয়ে কথা বলেন তখন তার সোডিয়াম ঠিক থাকে। আর একজন আছেন যিনি তাঁর নিজের ওয়ান ম্যান পার্টির সভাপতি। এক সময় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন । দলের হয়ে দু’বার নির্বাচন করে বিএনপি’র কাছে হেরেছেন। তিনি নিজের ওয়ান ম্যান পার্টি ছাড়াও বিএনপি’র একজন স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবী উপদেষ্টা। তিনি সেদিন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে বলেন করোনা দমনে এই সরকার ব্যর্থ। তার আক্ষেপ কেন সরকার শুরু হতে টিকা বানাতে ব্যবস্থা নিলো না। সাথে থাকা ভাড়া করা দোহাররা এক সাথে বললেন ঠিক ঠিক। তিনি বুঝতে অক্ষম যে টিকা তেলে ভাজা বেগুনি না বললেই ভেঝে দেয়া যায়।
বিএনপি এই মুহূর্তে কথায় কথায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলতে গিয়ে প্রায় বলে থাকেন এক এগারো ছিল জাতীয়তাবাদি শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রের অংশ। শুক্রবারও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম একই কথা বললেন। তিনি আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে বললেন সময় আসলে যখন জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবে তখন আফগানিস্তান সরকারের মতো বর্তমান সরকারেরও পতন হবে। ইদানিং কথায় কথায় বিএনপি ও তাদের দলিয় বুদ্ধিজীবী আর স্বঘোষিত পরামর্শ দাতারা আফগানিস্তান প্রসঙ্গ টেনে আনেন। একজন বললেন বাংলাদেশ তালেবানদের ভয়ে পালিয়ে আসা আফগানদের বাংলাদেশে আশ্রয় না দিয়ে ভুল করছে। অন্য আরেকজন পন্ডিত পরামর্শদাতা রাখঢাক না করেই বললেন এই সরকারের পতন হলে ঢাকা বিমান বন্দরের অবস্থা কাবুলের চেয়েও ভয়াবহ হবে। তালেবানদের আফগানিস্তান দখলে এখন বিএনপি শিবিরে ঈদের আনন্দ মনে হচ্ছে। সম্প্রতি জামায়াতের কয়েকজন নেতার সাথে বিএনপি’র কয়েকজন নেতার একটি বৈঠকও হয়েছে বলে জানা গেছে। আলোচনার বিষয় বস্তু কি ছিল তা অবশ্যই জানা যায় নি।
কথায় কথায় বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলে। আসি একটু দেখি বিএনপি’র গণতন্ত্রের নমুনা। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর মোশতাক ক্ষমতায় ছিলেন মাত্র বিরাশি দিন। এরপর ঘটলো জাতীয় চার নেতার কারা অভ্যন্তরে হত্যাকান্ড। এরপর জিয়ার ইশারায় রাষ্ট্রপতি হলেন দেশের প্রধান বিচারপতি এ এস সায়েম। শুরু থেকেই তাঁর সাথে জিয়া অনেকটা বাড়ির কাজের লোকের মানুষের মতো আচরণ করতে থাকনে যার ফলে বিচারপতি সায়েম পদত্যাগ করেন। তাঁর এই অভিজ্ঞতা নিজের রাষ্ট্রপতি থাকাকালিন সময়ের স্মৃতিচারণ মূলক গ্রন্থে লিখে রেখে গেছেন (অঃ ইধহমধনযধাধহ: ষধংঃ ঢ়যধংব)। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পিছনে জিয়া যে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তা এখন কোন গবেষণার বিষয় না। দেশে এবং দেশের বাইরে বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতিয় মহাফেজ খানার অবমুক্ত করা দলিলে তা পরিষ্কার ভাবে উল্লেখিত আছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারিরা বিদেশে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছেন জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যা কান্ডের সাথে শুরু হতেই জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন সব চেয়ে বড় বেনিফিসিয়ারি। জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারিদের বিচার কার্য বন্ধ করার জন্য সংবিধানে ইনডেমনিটি আইন অন্তর্ভূক্ত করেন। প্রায় সকল ঘাতক কে তিনি বিদেশি দূতাবাসে পদায়ন করেন।
জিয়া সামরিক উর্দি পরে সামরিক আইন প্রশাসক হলেন যা ইতোমধ্যে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বেআইনি ঘোষণা করেছেন। জিয়া রাতে কারফিউ দিয়ে দেশ শাসন শুরু করেন। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে লিখিত ১৯৭২ সালের সংবিধানে কাট ছেড়া করেছেন। সংবিধান হতে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়েছেন পাকিস্তানের সাথে সঙ্গতি রেখে। ভুললে চলবেনা জিয়া বড়ো হয়েছেন পাকিস্তানে। তাঁর পড়া লেখাও সেখানে। তিনি বাংলা জানতেন না। উর্দু হরফে বাংলা লিখে তা দেখে দেখে বক্তৃতা দিতেন (জিয়ার সিনিয়র মন্ত্রী মশিউর রহমান যাদু মিয়ার বড় ভাই সিদু মিয়ার সক্ষাৎকার, ‘আমার জীবন-কথা ও সময়’। সরকার ফজলুল করিম ও মুস্তাফা নুরুল ইসলাম। ত্রৈমাসিক প্রতিচিন্তা অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০১৪)। পাকিস্তান সেনা বাহিনীতে কমিশন প্রাপ্ত হয়েছেন ১৯৬৪ সালে। প্রথম পোস্টিং সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইতে। প্রথম বস জিয়াউল হক, (পরবর্তিকালে পাকিস্তানের সেনা শাসক ও প্রেসিডেন্ট)। সংবিধান হতে বাদ দিয়েছেন সমাজতন্ত্র আর বাঙালি জাতীয়তাবাদ যে মূল মন্ত্রে দিক্ষিত হয়ে বাঙালি একাত্তরে যুদ্ধে গিয়েছিল।
জিয়া সংবিধানে আরো সংশোধনী এনে দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির প্রচলনের অনুমতি দিয়েছিলেন। একাত্তরের ঘাতক দল জামায়াত, মুসলীম লীগ, পিডিপি প্রভৃতি ধর্ম ব্যবসায়ি দলকে দেশে প্রকাশ্যে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছিলেন বহুদলিয় গণতন্ত্রের নামে। একাত্তরের পাকিস্তানের বড় বড় সব বাঙালি সহযোগিকে নিজের দলে টানেন। যে শাহ আজিজ জাতি সংঘে গিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন তাকে বানান প্রধানমন্ত্রী। জয়পুরহাটের ত্রাস আবদুল আলিমকে বানান রেল মন্ত্রী। ঘাতকদের শিরোমনি জামায়াতের আমির গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে আনেন। সেনা বাহিনীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় দেশে তিনি তথাকথিত রেফারেন্ডামের নামে ‘হাঁ’ ‘না’ ভোটের প্রহসন চালু করে প্রায় একশত ভাগ ভোট নিজের পক্ষে নিয়েছিলেন। সেনা বাহিনী হতে মেজর জেনারেল পদে অবসর নিয়ে পিছনের তারিখ দিয়ে দুই মাস পূর্ব হতে নিজেকে লেফট্যানেন্ট পদে পদোন্নয়ন দেন। সিদু মিয়া বিলেতের ম্যানচেষ্টার গার্ডিয়ানকে উদ্বৃতি করে বলেছিলেন জিয়া যে পরিমাণের ভোট পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তা ক্যালকুলেট করলে দেখা যাবে যে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একটা করে ভোট পড়েছে। জিয়া সেনা প্রধান থাকা আবস্থায় বিএনপি গঠন করেন। ক্ষমতায় থাকতে জিয়া বিনা বিচারে প্রায় দুই হাজারের বেশী সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেন।
১৯৮১ সালে জিয়া চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুথানে নিহত হলে তাঁর উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তারের হাত ঘুরে এক সময় তা আর এক সেনা শাসক জেনারেল এরশাদ দখল করে । এক গণ আন্দোলনের মুখে এরশাদের পতন হলে ১৯৯১ সালে নির্বাচনে বেগম জিয়া ক্ষমতায় আসেন। তাঁর সেই মেয়াদ কালে তিনি অনেকটা অনভিজ্ঞতার কারণে তেমন কিছু করতে না পারলেও এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় তিন জোটের রুপ রেখার সম্মানে দেশে রাষ্ট্রপতির শাসন ব্যবস্থার বদলে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরে যেতে আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দলের সহায়তায় সংবিধানে সংশোধনী আনেন। সম্ভবত ওই মেয়াদে বেগম জিয়ার ওটাই একমাত্র উল্লেখযোগ্য কাজ। ২০০১ সালে বেগম জিয়া পুনরায় ক্ষমতায় এসে সম্পূর্ণ ভাবে বদলে যান । তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান দেশে একটি সমান্তরাল প্রশাসন চালু করেন। তবে তারেক রহমানের প্রধান লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করা যার বড় নমুনা ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে তার উপর গ্রেনেড হামলা। বেগম জিয়া আর তারেক রহমান চেয়েছিল দেশে একটি নূতন রাজতন্ত্র কায়েম করতে।
তারেক বেগম জিয়ার রাজনৈতিক দপ্তর হাওয়া ভবনকে বানান দূর্নীতির বড় আখড়া যা এখন আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত। যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইয়ের ওয়েব সাইটেও তার উল্লেখ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে তারেকের প্রবেশ নিষিদ্ধ বলে জানা যায়। তাকে ইতোমধ্যে গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। আইনের দৃষ্টিতে তিনি পলাতক আছেন লন্ডনে। সেই দেশে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন।
২০০৬ সালের শেষে সংসদ নির্বাচনের সময় ধার্য করা ছিল। বেগম জিয়া তাঁর মেয়াদকে দীর্ঘায়িত করার জন্য নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নেন। ভোটার তালিকায় প্রায় দেড় কোটি ভুয়া ভোটার অন্তর্ভূক্ত করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান যাতে নিজের পছন্দসই ব্যক্তি হন তার জন্য তিনি আইন সংশোধন করেন। এর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুললে আসে এক এগারো। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চৌদ্দ দলীয় ঐক্য জোট ধ্বস নামানো বিজয় লাভ করার পর এখন বিএনপি ও তার মিত্ররা প্রায় তের বছর ক্ষমতার বাইরে। এই তের বছরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। কথায় কথায় মির্জা ফখরুল বলে থাকেন আওয়ামী লীগের মেগা প্রকল্প মানে মেগা দূর্নীতি। দূর্নীতি বাংলাদেশে নূতন কিছু নয়। এটি ছিল, আছে ও থাকবে। পার্থক্যটা হচ্ছে আগে এই সব দূর্নীতির বিচার হতো না, এখন হয়। তবে দূর্নীতিতে দূর্নীতির বর পূত্র বলে খ্যাত তারেক রহমানকে টপকে যাবে তেমন মানুষ সম্ভবত বাংলাদেশে এখনো জন্ম হয় নি । বিএনপি‘র ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছার মধ্যে খারাপ কিছু নেই। তবে তা হতে হবে স্বচ্ছ রাজনীতির মাধ্যমে। পিছনের দরজা আর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নয়। এই মুহূর্তে বিএনপি আর গণতন্ত্র সমার্থক নয়। বিএনপি এখন একটি রিমোট কন্ট্রোল দল। এমন একটি দল নিয়ে আগামীতে ক্ষমতায় যাওয়াটা হবে একটি বড় ধরণের দৈব ঘটনা।

লেখক : গবেষক ও বিশ্লেষক