বাজার দর : বেড়েছে পেঁয়াজ ও মুরগির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক »

টানা চার সপ্তাহ ধরে মুরগির দাম বাড়ার পাশাপাশি নতুন করে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহেও ৪০ টাকা বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এছাড়া সপ্তাহ ব্যবধানে মুরগিতে প্রায় ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। তবে স্থির রয়েছে ভোজ্যতেলসহ সবজির দাম।

গতকাল বৃহস্পতিবার নগরের বহদ্দারহাট, রিয়াজউদ্দিন বাজার ও ষোলশহর কর্ণফুলী কমপ্লেক্স কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া যায়।

চলতি বছরের শুরুর দিকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর থেকে দেশে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে। তবে চলতি মৌসুমে বাজারে দেশি পেঁয়াজ আসার পর থেকে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে চলে আসে। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে হঠাৎ অদৃশ্য কারণে আবারও বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার কেজিতে প্রায় ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে মানভেদে দেশি পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এর আগেও গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। তবে দেশি পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেলেও দাম বাড়েনি ভারতীয় পেঁয়াজের। বাজারে কেজি প্রতি ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, তুরস্কের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়।

বাজারে আলুর পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকায়। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, টমেটো ১৫ থেকে ২০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, ফুলকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, মুলা ২০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, শিম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, দেশি গাজর ৩৫ টাকা, লাউ ২০ থেকে ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, খিরা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শিমের বিচি ৮০ টাকা ও ফরাস শিমের বিচি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে প্রতি কেজি ঢেরস ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়, ঝিঙ্গা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, বরবটি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, ধুন্দল ৭০ টাকা, শসা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা এবং তিত করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। প্রতি আঁটি লাল শাকের দাম ২৫ টাকা, পালং শাক ২০ টাকা, সরিষা শাক ২০ টাকা, কুমড়ো শাক ৩০ টাকা, কলমি শাক ২০ টাকা, পুঁই শাক ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১২৮ থেকে ১৩০ টাকায়, খোলা পাম সুপার তেল ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। এক লিটার বোতলজাত পুষ্টি ব্যান্ডের সয়াবিন তেল ১৩৫ টাকা, তীর ব্যান্ডের সয়াবিন তেল ১৩০ টাকা এবং রূপচাঁদা ব্যান্ডের সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। এছাড়া ৫ লিটারের বোতলজাত বসুন্ধরা সোয়াবিন তেল ৬২০ টাকা, পুষ্টি সয়াবিন তেল ৬৩০ টাকা এবং রূপচাঁদা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকায়।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগিতে ১০ থেকে বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়, সোনালি মুরগিতে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকায়। তবে গরুর ও খাসির মাংসের  দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।