বহিঃসমুদ্রে পাইপ লাইনে সাশ্রয় হবে হাজার কোটি টাকা

নগরে রিহ্যাব ফেয়ারের উদ্বোধনে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

চট্টগ্রামে তারবিহীন শহর তৈরির কাজ শুরু হবে আগামী বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক»
জ্বালানি বিভাগের অধীনে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে আধুনিকীকরণ প্রকল্পের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বহিঃসমুদ্রের ১৬০ কিলোমিটার দূরত্বে ১৫ মিটার গভীরের এ পাইপ লাইনের মাধ্যমে ১২ ঘণ্টায় তেল খালাস করা যাবে। ৫৫০ মিলিয়ন অর্থ ব্যয়ে নির্মাণাধীন লাইনে প্রতিবছর ১ হাজার কোটি টাকা তেলের খরচ সাশ্রয় হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের খালাসকরণ প্রক্রিয়া সহজতর হবে বলে জানান বিদ্যুৎ খনিজ ও জ্বালানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের রেডিসন ব্লু মোহনা হলে রিয়েল অ্যাস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) চট্টগ্রাম ফেয়ার এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজিব জন্মশতবর্ষের অঙ্গীকার-সারাদেশে শতভাগ ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে ৭শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামে একটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। কোভিডের কারণে পিছিয়ে পড়া কাজ সম্পূর্ণ হলে আগামী দু’বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট থাকবে না।’
নসরুল হামিদ এমপি আরো বলেন, ‘চট্টগ্রামে তারবিহীন শহর তৈরির কাজ শুরু হবে আগামী বছর। আন্ডারগ্রাউন্ডে বৈদ্যুতিক ক্যাবল বসানোর নকশার কাজ চলছে। রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা দিয়ে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। রাজধানীর পর বাণিজ্যিক নগরীতে দ্বিতীয় ধাপে শুরু হবে এ কাজ। তাছাড়া দেশের প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে চট্টগ্রামে। দেড় বছরের মধ্যে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।’
অপরিকল্পিত স্থাপনায় বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যত্রতত্র মার্কেট, কমার্শিয়াল স্পেস, বাড়িনির্মাণ পরিহার করার সময় এসেছে। নিয়ম মেনে খোলামেলা স্থান রেখে ভবন নির্মাণ করতে হবে। চলতি বছরের মার্চ থেকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস এবং বিদ্যুতের জন্য পরিকল্পিত শিল্প এলাকায় যেতে হবে। সেকেন্ডারি মার্কেটের খরচ কমিয়ে আনার বিষয়ে সরকারকে বোঝাতে হবে। এতে সেকেন্ডারি মার্কেটে রেজিস্ট্রেশন বেশি হবে, ট্যাক্স কালেকশন বাড়বে।’
রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী বলেন, ২ শতাংশ ট্রান্সফার ফি দিয়ে সেকেন্ডারি ফ্ল্যাট বিক্রয়ের বাজেট প্রণয়ন করতে পারলে বাংলাদেশে আমূল পরিবর্তন ও বড় ইনভেস্টমেন্ট এ সেক্টরে যোগ হবে।’ মেয়রকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে আড়াইশো ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি থাকলেও এতে রিহ্যাবের সদস্য মাত্র ৮৩টি। ডেভেলপমেন্ট কোম্পনিগুলো বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করলে এর দায়ভার আমাদের উপরেও আসছে। তাই এ সেক্টরকে নিয়ন্ত্রণ করতে রিহ্যাবের সদস্য দেখে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।’
রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর সামশুল আল আমিন কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কামাল মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।