ফাইনালে ডা. কামাল খান একাদশ

এ জেড এম হায়দার
আবু তাহের পুতু একাদশের সাথে তাল মিলিয়ে এক খেলা হাতে রেখেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ডা. কামাল এ খান। গতকাল সন্ধ্যায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে মুজিববর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্টের চতুর্থ দিনের খেলায় তারা ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে রফিক আহমেদ চৌধুরী একাদশকে পরাজিত করে। বিজয়ী দলের তৌহিদুল, মুন্না, জাহেদুল ও পাভেল এবং বিজিত দলের সজিব গোল করেন। দুই খেলায় ৫ পয়েন্ট নিয়ে তারা আগামী ১৮ অক্টোবর ফাইনালে আবু তাহের পুতু একাদশের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবে। এর আগে দু খেলায় পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে এক খেলা হাতে রেখে ফাইনালে পৌঁছে গেছে আবু তাহের পুতু একাদশ। আর রফিক আহমেদ চৌধুরী ও কামালউদ্দিন একাদশের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। তবে ১৫ ও ১৬ অক্টোবরের খেলা দুটি আনুষ্ঠানিকতায় পরিনত হয়েছে। ম্যাচসেরা বিজয়ী দলের মুন্নার হাতে পুরস্কার তুলে দেন সিজেকেএস নির্বাহী সদস্য জমিরউদ্দিন ভুলু। আজ খেলার বিরতি। কাল ৫ম দিনের খেলায় এস এম কামালউদ্দিন ও রফিক আহমেদ একাদশ বিকেল ৫টায় মাঠে নামবে।
প্রথম খেলার মতই দক্ষতা প্রদর্শন করে শুরু থেকে পরিকল্পিত আক্রমণের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে কামাল এ খান একাদশ। রফিক আহমেদ একাদশ প্রথমার্ধ সমানতালে পাল্লা দিলেও দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটা নিস্প্রভ হলে সুযোগ কাজে লাগিয়ে খান একাদশ তিন তিনটি গোল আদায় করতে সক্ষম হয়। খেলার ৮ মিনিটে তারা লিড পেয়ে স্বস্বিতে থাকে। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে তৌহিদুলের দূর্দান্ত ফ্রি-কিক কিপার করিমকে বোকা বানিয়ে জালে ঠাই নেয় (১-০)। এর আাগে দ্বিতীয় মিনিটে নাজিমের কর্নার থেকে মোর্শেদের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে গোলবঞ্চিত হয় রফিক আাহমেদ একাদশ। তবে খান একাদশের লিড বেশিক্ষন স্থায়ী হয়নি। ২২ মিনিটে গোল পেয়ে সমতা এনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফিরে রফিক আহমেদ একাদশ। প্রথম গোলের মত তারাও ফ্রি-কিক থেকে গোল পায়। বামপ্রান্ত থেকে মেজবাহ’র ফ্রি কিক গোলমুখে আচড়ে পড়লে অধিনায়ক সজিব টোকা দিয়ে কিপার উত্তম বড়ুয়াকে পরাস্ত করেন (১-১)। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথমেই পুনরায লিড পেয়ে যায় টিপু-নাজুর শির্ষ্যরা। গোছালো এক আক্রমণ থেকে মুন্নার শট জালের ঠিকানা খুঁজে পেলে আবারো আনন্দে ভাসে খান একাদশ (২-১)। পরবর্তীতে আবারো দুইবার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পর ২০ মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করেন জাহেদুল। মুন্নার সেন্টার থেকে বক্সে ফাঁকায় পেয়ে জাহেদুল দর্শনীয় শটে বল জালে পৌঁছান। ৩৫ মিনিটে বামপ্রান্ত দিয়ে ঢুকে বদলি পাভেল নিপুন শটে জালের ঠিকানা খুঁজে পান (৪-১)।