পেকুয়ায় স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া »
পেকুয়ায় স্বামীর নির্যাতনে হুরি জন্নাত (১৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে উপজেলার উজানটিয়ার পশ্চিম উজানটিয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ ওই এলাকার মোহাম্মদ হৃদয় প্রকাশ রিফাতের স্ত্রী। ঘটনার খবর পেয়ে পেকুয়ার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড় বছর আগে একই এলাকার নেজাম উদ্দিনের পুত্র রিফাত পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মছন্ন্যাকাটা এলাকার আবু বক্করের মেয়ে হুরি জন্নাতের সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়ে প্রেমের সম্পর্ক হয়। তারা উভয়ে পরিবারের অজান্তে বিয়ে করে। বিয়ের দেড় বছরের মধ্যে তাদের কুলজুড়ে আসে একটি শিশু সন্তান। যার বয়স ৯ মাস। বিয়ের পর থেকে ওই মেয়ের উপর যৌতুকের দাবিতে নেমে আসে নানা অত্যাচার ও নির্যাতন। সবকিছু সহ্য করে সে সংসার করে আসলেও থেমে থাকেনি যৌতুকলোভী শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীর নির্যাতন। চালাতো যৌতুকের জন্য অমানুষিক নির্যাতন। স্থানীয়রা বার বার নির্যাতন না করার জন্য বারণ করলেও তারা এতে কর্ণপাত করেনি তারা। রিফাত হুরি জন্নাতকে বিয়ে করার আগেও একই এলাকার একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিল। যা হুরি জন্নাতকে জানানো হয়নি।
নিহত গৃহবধূর পিতা আবু বক্কর বলেন, মেয়েকে তার শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামী রিফাত ও তার আগের স্ত্রী মিলে যৌতুকের জন্য শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে। আগেও কয়েকবার মারধর করলে বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে তারা মিমাংসা করে দেয়। এরপর আবার নির্যাতন চালায়। সর্বশেষ ঘটনার দিনও তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে মেয়েকে টাকা নিয়ে আসতে বলে মারধর করে পরে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এদিকে ঘটনার পর পরই নিহত গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামী পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) কানন সরকার জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে। তবে প্রাথমিক তথ্যমতে গলায় কালো দাগ রয়েছে।