পুরুষদের ‘ঘৃণা’ করেন মধুমিতা

সুপ্রভাত ডেস্ক »

তুমুল ভালোবাসায় মজে করেছিলেন বিয়ে। টলিউড পাড়ায় তারা ছিলেন ‘হ্যাপি কাপল’। কিন্তু সেই সুখ স্থায়ী হলো না। বছর পাঁচেক সংসারের পর ২০১৯ সালের শেষ দিকে হাঁটেন বিচ্ছেদের পথে। সম্পর্কের এই গল্প টলিউড অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার ও অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তীর।

বিচ্ছেদের পর মধুমিতা নিজেকে সাহসীরূপে উপস্থাপন করে চলেছেন। পর্দা হোক বা সোশাল মিডিয়ায়, তার বোল্ড অবয়ব মুগ্ধ-বিস্মিত করে অনুসারীদের। নতুন সম্পর্কে জড়ানোর গুঞ্জনও ছড়িয়েছে একাধিকবার। তবে তাতে গুরুত্ব দেননি পর্দার ‘পাখি’। এখন কি তবে সিঙ্গেলই আছেন তিনি?

প্রশ্নটা শুনে মধুমিতার স্পষ্ট জবাব, ‘আমি এখন কাজের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর বিশ্বাস করুন, আমি পুরুষদের ঘৃণা করি।’

ঠিক কী কারণে এমন মন্তব্য করলেন মধুমিতা, সেই ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। হতে পারে, অতীত সম্পর্কের তিক্ত অভিজ্ঞতাই তার মনে এমন বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতার অনেক অভিনেত্রী মুম্বাইতে কাজ করেছেন। মধুমিতা কি সেই মিছিলে যোগ দেবেন? অভিনেত্রী বললেন, ‘আমি নিজেকে সব দিক থেকে তৈরি করার চেষ্টা করছি। নিজে খুব একটা কোথাও চেষ্টা করছি না। তবে হ্যাঁ, বাইরে থেকে যদি তেমন কোনও সুযোগ আসে, পছন্দ হলে আমি ঝাঁপিয়ে পড়বো। একটা হিন্দি কাজও আমার হওয়ার কথা রয়েছে। ‘দিলখুশ’ (মধুমিতার নতুন ছবি) মুক্তি পাওয়ার পরই আমি কথা বলতে যাবো। আসলে নিজেকে এমনভাবে তৈরি করতে চাই, যাতে সব জায়গা থেকে সুযোগ আসে।’

ক্যারিয়ার নিয়ে নিজের অতৃপ্তির কথাও জানালেন অকপটে। মধুমিতা মনে করেন, ‘এখনও কিছুই হয়নি। ঘড়ার (কলসি জাতীয় পাত্র) নিচও ছুঁতে পারিনি। আমি শুধু এগিয়ে চলেছি। কিন্তু গতি এখনও লক্ষ করছি না। ঠিক যতটা গতিতে এগোনো দরকার, ততটা হচ্ছে না। শুধু তো বাংলায় নয়, আমি বাংলার বাইরেও কাজ করতে চাই। অন্য ভাষায়, অন্য ইন্ডাস্ট্রিতে।’

উল্লেখ্য, মধুমিতার নতুন ছবি ‘দিলখুশ’ নির্মাণ করেছেন রাহুল মুখার্জি। এতে আরও অভিনয় করেছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুসূয়া মজুমদার, খরাজ মুখার্জি, অপরাজিতা আঢ্য, সোহম মজুমদার, উজান চ্যাটার্জি, অনির্বাণ ভট্টাচার্য প্রমুখ। আগামী ২০ জানুয়ারি মুক্তি পাবে ছবিটি।