পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

রাঙামাটিতে পরিবেশমন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পাহাড় ও টিলা কাটার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। টিলা কর্তনকারী যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। মন্ত্রী বলেন, পাহাড় টিলা প্রকৃতির আশীর্বাদ, এগুলো কাটলে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই আমাদের স্বার্থেই পাহাড় ও টিলা কাটা বন্ধ করতে হবে।

গতকাল শুক্রবার রাঙামাটিতে বিভাগীয় বন কর্মকর্তাদের জন্য ৬ তলা অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বনমন্ত্রী বলেন, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ২৫ শতাংশ বনভূমি প্রয়োজন। তাই পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ব্যাপকভাবে বানায়ন করা হবে। তিনি বলেন, এখানকার জনগণকে নিয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন করা গেলে একদিকে যেমন জনগণ উপকৃত হবে অন্যদিকে এখানকার প্রকৃতি ও পরিবেশ প্রাণ ফিরে পাবে। আধুনিক বিভাগীয় বন অফিস উদ্বোধন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এর ফলে এ অঞ্চলে বন বিভাগের কার্যক্রমে গতিশীলতা বাড়বে।

এ সময় প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস, রাঙামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, রাঙামাটি বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, রাঙামাটি বনরূপায় ফরেস্ট অফিস কমপ্লেক্সে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ তলা ফাউন্ডেশনের ৪ হাজার ৫শত বর্গমিটারের অফিস ভবন নির্মিত হচ্ছে। মন্ত্রী এরপর কাপ্তাই লেকের ইকো-ট্যুরিজম সম্ভাবনা ও জীববৈচিত্র্য যাচাইয়ের জন্য রাঙামাটি হতে বরকল উপজেলার কাছালং ফরেস্ট অফিস পরিদর্শন করেন। তথ্য বিবরণী