পটিয়ায় জাতীয় পার্টির নেতার স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করলো ছেলে

নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া »

অর্থ ও সম্পত্তির লোভে পটিয়ায় মাকে গুলি করে হত্যা করেছে পুত্র। মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে পটিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সবজারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জেসমিন আকতার (৫২) জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পটিয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম শামসুল আলম মাস্টারের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে পুত্র মো. মঈনুদ্দিন (৩০)।

জানা গেছে, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পটিয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম মাস্টার ১৩ জুলাই বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। শামসুল আলম মাস্টারের দুই পুত্র ও এক কন্যা। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া থাকেন এক পুত্র ও এক কন্যা। বড় ছেলে মঈনুদ্দিন উগ্রপন্থী ও কিশোর গ্যাং লিডার। অর্থ ও সম্পত্তির জন্য প্রায় সময় মাকে গালিগালাজসহ খারাপ আচরণ করত মঈনু।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পিতা শামসুল আলম মাস্টার মারা যাওয়ার আগে কয়েকটি ব্যাংকে কোটি টাকার অধিক ব্যালেন্স রেখে যান। ব্যাংকের নমিনি পরিবর্তন করা নিয়ে মঙ্গলবার মা ও পুত্রের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বাড়ির দোতলায় মাকে গুলি করে সে পালিয়ে যায়। মায়ের চিৎকার ও গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশের ওসি তদন্ত রাশেদুল ইসলামসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর তল্লাশি চালিয়ে একটি খোসা ও ১০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। বিকেলে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার রশিদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে মঈনুলের রুম থেকে ১০ রাউন্ড কার্তুজ ও ব্যবহৃত পিস্তলের গুলির একটি খোসা উদ্ধার করা হয়। মঈনুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

অস্ত্র উদ্ধার

ছেলের গুলিতে মা খুনের ঘটনায় জাতীয় পার্টির পটিয়া অফিস থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টায় এ অস্ত্রটি উদ্ধার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ।
তবে এ অস্ত্রটি হত্যার ঘটনায় ব্যবহার হয়েছিল কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। এটা ৭.৬৫ মডেলের পিস্তল বলে পুলিশ জানান।
পটিয়া সার্কেল (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) তারিক রহমান, পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার ও ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা জাপার অফিসে তল্লাশি চালায়। ওই সময় এ অস্ত্রটি খুঁজে পায়।