পটিয়ায় অভাবের তাড়নায় দুই মেয়েকে গলাটিপে হত্যা

স্বজনদের আহাজারি-সুপ্রভাত

পিতা গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধি,পটিয়া :

পটিয়ায় দুই মেয়েকে হত্যার পর পিতা আত্মহত্যার চেষ্টা করে।  বুধবার ভোরে উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের ভান্ডারগাঁও এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পটিয়া থানা পুলিশ শশী বড়ুয়া প্রকাশ টুকু বড়ুয়া (১৫) ও নিশি বড়-য়ার (১০) লাশ উদ্ধার করেছে। টুকু বড়ুয়া ৮ম শ্রেণির ছাত্রী এবং নিশি বড়ুয়া ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। দুই মেয়েকে গলাটিপে হত্যার পর পিতা মুকুন্দ বড়ুয়া নিজে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পিতা মুকুন্দ বড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের ভান্ডারগাঁও এলাকার মুকুন্দ বড়ুয়ার স্ত্রী ৩ বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাদের সংসারে দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। পিতা মুকুন্দ বড়ুয়া দুই কন্যা সন্তান নিয়ে এতদিন বসবাস করে আসছিলেন।  অভাবের সংসারে বিভিন্ন বিষয়ে অশান্তি দেখা দেয়। বুধবার ভোরে দুই কন্যা সন্তানকে ঘরে গলাটিপে হত্যা করে পিতা বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ইউসুফ জানিয়েছেন, মুকুন্দ বড়ুয়ার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর  অভারের সংসারে দুই কন্যা সন্তান নিয়ে কষ্ট পড়েন। তবে কি কারণে দুই কন্যা সনত্মানকে হত্যা করেছে তা জানা সম্ভব হয়নি। পটিয়া থানার এএসআই হিরম্ন বিকাশ জানিয়েছেন, অভাব ছাড়াও স্ত্রী মারা যাওয়ার মুকুন্দের পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অভাবের কারণেই পিতা দুই কন্যাকে গলাটিপে হত্যা করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিতা মুকুন্দ বড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পটিয়া থানার ওসি মো. বোরহান উদ্দীন  জানিয়েছেন, দুই মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করে পিতা মুকুন্দ বড়ুয়া নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। দুই কন্যাকে হত্যা করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে  ছুটে যান এবং লাশ দু’টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।