নির্বাচনে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন

জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশিদের অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং দেশব্যাপী পরিচালিত ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হকের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির সদস্যসহ অন্য শিক্ষকবৃন্দ।

মানববন্ধনে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক বলেন, আমরা মনে করি দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকবে। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে বিরোধীদল দরকার। যে দলই হোক না কেন, তাদের আন্দোলন কর্মসূচির জন্য বৈধ পন্থা অবলম্বন করতে হবে। যাতে দেশ ও জনগণের ক্ষতি না হয়। কিন্তু বর্তমানে আমরা দেখতে পাচ্ছি গুপ্ত হামলার মাধ্যমে, রাস্তার পাশে রাখা গাড়ি, গ্যারেজের ভিতরে গিয়ে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ঘটানো হচ্ছে। এসব নৈরাজ্য ও ধ্বংস কখনোই আমাদের কাম্য নয়। এসব ধ্বংসাত্মক কাজের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বিরোধীদলকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাই।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পন্থা নির্বাচন। কিন্তু একটি দল হরতাল অবরোধের নামে দেশের ভিতর ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। এতে করে দেশের মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই এরকম ধ্বংসাত্মক কাজ বন্ধ করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণকে গনতান্ত্রিক পন্থায় নেতৃত্ব প্রদানে সহায়তা করার আহ্বান জানাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখছি আমাদের গণতন্ত্রে বিদেশিদের নগ্ন হস্তক্ষেপ। এভাবে হস্তক্ষেপ করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পন্থা নস্যাৎ করতে পারবে না।

মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, আজকে হরতাল অবরোধের ১৪তম দিনে আমরা আজ রাস্তায় দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি। বর্তমানে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। সরকার পরিবর্তন হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটের মাধ্যমে। জনগণ যাকে চাইবে তারা হবে নির্বাচিত। এই হরতাল, অবরোধ, ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে দিনমজুর, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করতে হচ্ছে। এভাবে হরতাল অবরোধ, অগ্নিসংযোগ বন্ধ করেন দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে সরকার নির্বাচনে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানান তারা।