নারিন তাণ্ডবে চট্টগ্রামের বিদায়

সুপ্রভাত ডেস্ক »
এবারের বিপিএলে দারুণ সময় কাটছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মূল একাদশের বেশ কিছু ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দিতেই ছন্দপতন ঘটে তাদের। সেই রেশ থেকে যায় প্রথম কোয়ালিফায়ারে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষেও। তবে আজ (বুধবার) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চেনা রূপে ফিরেছে কুমিল্লা। সুনীল নারিনের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে উড়িয়ে ৭ উইকেটের জয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে ইমরুল কায়েসের দল।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয়েছিল কুমিল্লা-চট্টগ্রাম। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে একপেশে ম্যাচ দেখেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে চট্টগ্রাম ১৯.১ ওভারে ১৪৮ রানে অলআউট হয়। এরপর নারিনের রেকর্ড গড়া হাফসেঞ্চুরিতে কুমিল্লা ৪৩ বল আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। শুক্রবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ফাইনালে মাঠে নামবে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রামের দেওয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম বলেই ফিরে যান ওপেনার লিটন দাস। যদিও এর প্রভাব পড়তে দেননি নারিন। মিরপুরের ২২ গজে টর্নেডো ইনিংস খেলে কুমিল্লার জয়ের পথটা একেবারেই সহজ করে দেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। ১৩ বলে ফিফটি পূরণ করে বিপিএলের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন। সব মিলিয়ে ১৬ বলে ৫ চার ও ৬ ছক্কায় ৫৭ রান করে আউট হন বিপিএলের চলতি আসরে প্রথমবার ওপেনিংয়ে নামা নারিন।
তিনি বিদায় নিলেও ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ তখন পুরোপুরি কুমিল্লার হাতে। ইমরুল ২৪ বলে ২২ রান করে আউট হন। এরপর ফাফ ডু প্লেসি ও মঈন আলীর ঝড়ে খরকুটোর মতো উড়ে যায় চট্টগ্রামের বোলাররা। প্রোটিয়া ব্যাটার ডু প্লেসি ২৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে মঈন ১৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩০ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে জিতিয়েই ড্রেসিংরুমে ফেরেন। চট্টগ্রামের শরিফুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও বেনি হাওয়েল একটি করে উইকেট নিয়েছেন। খবর বাংলাট্রিবিউন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া চট্টগ্রামের শুরুটা ভালো হয়নি। অসুস্থতার কারণে আগের ম্যাচ খেলতে না পারা উইল জ্যাকস ফিরেছিলেন। দলীয় ৩১ রানে তার বিদায়। জ্যাকসের (১৬) পর চ্যাডউইক ওয়ালটনও (২) প্রত্যাশা মেটাতে না পারায় ১০০’র নিচে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় দলটি। মিডল অর্ডারে মেহেদী হাসান মিরাজের চেষ্টা ও আকবর আলীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর মৃত্যুঞ্জয়ের টর্নেডো ইনিংসে লড়াইয়ের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম।
সর্বোচ্চ রান করেন মিরাজ। ৩৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। আকবর ২০ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় খেলেছেন ৩৩ রানের ইনিংস। এরপর ১৯তম ওভারে দুই ছক্কায় মৃত্যুঞ্জয় ১৫ রান তুলে নিলে ১৪৮ রানের স্কোর গড়ে চট্টগ্রাম। কুমিল্লার শহীদুল ইসলাম ও মঈন আলী ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া আবু হায়দার, মোস্তাফিজুর রহমান ও তানভীর ইসলাম নিয়েছেন একটি করে উইকেট।