নাগরিক প্রেমিকদের নিয়ে সিনেমা ‘আন্তঃনগর’

সুপ্রভাত ডেস্ক »

এক মজার কথোপকথন দিয়ে শুরু হলো নাগরিক প্রেমিকদের নিয়ে নির্মিত ওটিটি সিনেমা ‘আন্তঃনগর’-এর ট্রেলার। যার পুরো ঝলক মিলবে দিন পেরোলেই আজ রাত ৮টায়। এমনটাই জানায় প্রযোজনা সংস্থা চরকি।

নগরের ইট-পাথরে মিশে থাকা বেদনা আর ভালোবাসার উষ্ণ গল্পে সাজানো হয়েছে সিনেমার দৃশ্যপট। গৌতম কৈরী নৈপুণ্যের সঙ্গেই গল্প লেখা ও পরিচালনার কাজটি করেছেন। এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্যামল মাওলা, রুনা খান, সোহেল মণ্ডল, শবনম ফারিয়া, আশীষ খন্দকার, প্রান্তর দস্তিদার, নিদ্রা নেহা, জয় রাজ, নাফিস আহমেদসহ অনেকেই।

এতে সিএনজি চালকের চরিত্রে দেখা যাবে শ্যামল মাওলাকে। তিনি বলেন, ‘এতে অভিনয় করাটা একটু কঠিন ছিল আমার জন্য। কেননা, প্রতিদিন সিএনজি চালাতে হয়েছে। সিএনজি চালাতে চালাতে হাতে ফোসকা পড়ে গেছে। সেই সঙ্গে অভিনয়; সব মিলিয়ে একটা মিশ্র পরিস্থিতি। সহশিল্পী হিসেবে রুনা আপুর সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে। এই সিনেমার গল্প বলার থেকে দেখতে বেশি ভালো লাগবে। কারণ কাজটা বেশ মৌলিক।’

রুনা খান বলেন, ‘সিনেমায় আমার সহশিল্পী ছিলেন শ্যামল ও জয় রাজ। তারা দুজনেই গুণী অভিনেতা। প্রতিটি সিনেমার পরিচালক নিজের মতো করে তাদের গল্প দেখানোর চেষ্টা করেন। সেদিক থেকে আন্তঃনগরের বলার ধরন এক ভিন্ন রকম ছিল। আশা করছি দর্শকরা এটা দারুণভাবে উপভোগ করতে পারবে।’

‘আন্তঃনগর’-এ আছেন সোহেল মণ্ডলও। কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, ‘গৌতম কৈরীর সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় ছিল। পরিচালক হিসেবে তিনি বেশ বন্ধুসুলভ। পুরো টিম ছিল ক্রিয়েটিভ তাই কাজের অভিজ্ঞতা দারুণ। শবনম ফারিয়া একজন ফুর্তিবাজ শিল্পী, তাই দারুণ সময় কেটেছে কাজের সময়। এটা আমাদের চারপাশের মানুষের গল্প। প্রেম, দ্রোহ, থ্রিল সব বিষয় আছে।’

শবনম ফারিয়া বলেন, ‘এই সিনেমায় যারা আছেন সবার সঙ্গেই আগে কাজের অভিজ্ঞতা ছিল। রুনা আপার সঙ্গে সিরিয়ালে দীর্ঘ সময় কাজ করেছি। শ্যামল দা, সোহেল ভাই সবাই পছন্দের মানুষ। তাই তাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা বেশ।’

শেষে পরিচালক গৌতম কৈরী বলেন, ‘‘আমার প্রথম সিনেমা ‘আন্তঃনগর’। মিশ্র এক অনুভূতির মধ্য দিয়েই যেতে হয়েছে আমাদের। এতে সকল অভিনয়শিল্পী নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়েই কাজটি করেছে। এখানে দুজন নতুন অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে দর্শক পরিচিত হবে। তাদের ডেডিকেশন লেভেলের প্রশংসা করতেই হবে।’

‘আন্তঃনগর’-এর সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন রফিকুল ইসলাম, কালার ও এডিট করেছেন এইচএম সোহেল। আর মিউজিক করেছেন জাহিদ নিরব, সাউন্ড ডিজাইন করেছেন শৈব তালুকদার।