নাইট কারফিউয়ের ওয়াংখেড়েতে চলবে আইপিএল ম্যাচ

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সংক্রমণ ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। গোটা এপ্রিল মাস জুড়ে মহারাষ্ট্রে জারি হয়েছে নাইট কারফিউ। করোনার প্রকোপ কমাতে রবিবার আবার রাজ্যজুড়ে ঘোষণা করা হয়েছে উইকেন্ড লকডাউনের। করোনার এই ভয়াবহ উদ্বেগের মাঝেই দামামা বেজেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের। আগামী ৯ এপ্রিল যার শুভ সূচনা। আর ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের অন্যতম ভেন্যু হিসেবে আইপিএল গভর্নিং বডি বেছে নিয়েছে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েকে। আংশিক লকডাউনের মাঝে ওয়াংখেড়েতে ম্যাচ হওয়া নিয়ে অনুরাগীদের মধ্যে দানা বেঁধেছে সংশয়।
এরইমধ্যে সোমবার মহারষ্ট্রের সংখ্যালঘু উন্নয়ণ দফতরের মন্ত্রী অনুরাগীদের আশ্বাস দিয়ে জানালেন করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ সত্ত্বেও ওয়াংখেড়েতে আইপিএলের ম্যাচ হবে নির্ধারিত সূচি মেনেই। তবে কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মানতে হবে কঠোরভাবে। সংবাদসংস্থা এএনআই’কে রাজ্যের মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘বিধিনিষেধ মেনেই ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। স্টেডিয়ামে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার থাকছে না। আইপিএলের সঙ্গে জড়িতে প্রত্যেককে একটি নির্দিষ্টস্থানে নিভৃতবাস কাটাতে হবে। জটলা এড়িয়ে চলতে হবে। এইসকল শর্তসাপেক্ষেই আমরা ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি দিয়েছি।’
মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘অনেকেই টুর্নামেন্টের সঙ্গে জড়িত ক্রিকেটারদের ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য সওয়াল করছেন। বিসিসিআইও সেই দাবি জানিয়েছে। আমরাও চাই ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে যে বয়সসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে সেটা কমিয়ে আনা হোক। তাহলেই আমরা ভ্যাকসিন প্রদান করতে পারব। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে যতক্ষণ না অনুমতি মিলছে ততক্ষণ অবধি আমরা অপারগ।’ উল্লেখ্য চলতি এপ্রিলেই সূচি অনুযায়ী ১০টি ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে মুম্বই’য়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। ১০ এপ্রিল প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস বনাম পন্তের দিল্লি ক্যাপিটালস।’
সাম্প্রতিক সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ১০ জন মাঠকর্মী এবং ৬ জন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কর্মী। এরপরই সেখানে ম্যাচ আয়োজন ঘিরে দেখা দিয়েছিল সংশয়। স্ট্যান্ড-বাই হিসেবে ভেসে আসছিল হায়দরাবাদ এবং ইন্দোরের নামও। এই দু’টি ভেন্যু স্ট্যান্ড-বাই হিসেবে এখনও রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিসিআই’য়ের এক আধিকারিক। তবে জল্পনার মাঝে রবিবার সবচেয়ে বড় সিলমোহর দেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এএনআই’কে তিনি জানান, ‘সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ীই চলবে।’
রবিবার মহারাষ্ট্রে ৫৭ হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন করে করোনা সংক্রামিত হয়েছেন বলে রিপোর্টে প্রকাশ। মৃত্যু হয়েছে ২২২ জনের।