ধর্ষক আটক বিয়ের প্রলোভনে ২ বোনকে ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিনিধি, সন্দ্বীপ :

চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে বিয়ের প্রলোভনে লম্পট শিপন (৪৫) কর্তৃক বড়বোন ও ছোটবোনকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষক মো. শিপনকে পুলিশ আটক করেছে। সে সন্দ্বীপ কালাপানিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নুর আলমের ছেলে বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কালাপানিয়া ইউনিয়নের হামিদ লম্বরীর বাড়ির মৃত মো. জসিমের স্বামী পরিত্যক্ত বড় মেয়ে তার অবিবাহিত ছোটবোনের বিয়ে না হওয়া নিয়ে তাবিজ-কবচের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় শিপন নামে এক ব্যক্তির কাছে যান। পরে সেই ব্যক্তি নানা কৌশল খাটিয়ে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আগে-পরে দু’বোনের ওপরই লাম্পট্য চরিতার্থ করে। বিভিন্ন সময়ে দু’বোনকে তাদের নগ্ন ছবি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ছোটবোন ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
বিষয়টি কাউকে জানালে লম্পট শিপন ধর্ষিতা দু’বোনের নগ্নছবি প্রকাশ করে দেবে বলে প্রতারিত দু’বোনকে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। পরে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং সম্ভ্রমহারানো দু’বোন স্থানীয় চেয়ারম্যান আলীমুর রাজী টিটুকে বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ করে। চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিকভাবে চৌকিদার পাঠিয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ধর্ষক শিপনকে কালাপানিয়া বোর্ড অফিসে হাজির করেন।
শিপন ধর্ষিতাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়েছেন বলে চেয়ারম্যানের কাছে স্বীকার করেন। এছাড়া পুলিশে ধরিয়ে না দিলে ধর্ষিত ছোটবোনকে বিয়ে করতে রাজি আছেন বলে চেয়ারম্যানকে প্রস্তাব দেন। পরে ঘটনাটি চেয়ারম্যান সন্দ্বীপ থানার ওসি বশির আহমেদ খানকে জানালে তিনি এসআই উ নু মং মারমাসহ সঙ্গীয়ফোর্স ঘটনাস্থলে পাঠান। পরে বড়বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষক শিপনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশুনির্যাতন আইনে মামালা হয় বলে সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন
এদিকে অভিযোগ প্রমাণের জন্য ধর্ষিত দু’বোনের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য তাদের নিয়ে মামলার তদন্ত অফিসার এসআই উ নু মং মারমা সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে গেছেন বলে তিনি জানা গেছে।