দেশের সৌন্দর্য বিদেশিদের কাছে তুলে ধরতে হবে

পর্যটন মেলা উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, ‘কোভিডের কারণে পর্যটন শিল্প কিছুটা বাধাগ্রস্ত হলেও বর্তমানে এ খাতের উন্নয়নে কাজ চলছে। পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ইতোমধ্যে ‘ট্যুরিজম রিকভারি প্ল্যান’ ও এ সংশ্লিষ্ট ২০টি গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে। আগামী ২০৩০ সালে পর্যন্ত পর্যটন শিল্পে কত সংখ্যক কর্মসংস্থান হবে তা নিরুপণের জন্য ন্যাশনাল ট্যুরিজম হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি প্রণয়ন করা হয়েছে। জাতীয় পর্যটন নীতিমালা ২০১০ যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশব্যাপী অবকাঠামোগত উন্নয়ন, তথ্য প্রযু্িক্তর প্রসার ও আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করা হয়েছে। সরকারের এসব যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে ২০১৯ সালের ১ কোটি পর্যটক থেকে ২০২২ সালে বেড়ে তা ২ কোটিরও বেশি হয়েছে। এখন আমাদেরকে দেশের সৌন্দর্য বিদেশে তুলে ধরতে হবে, যাতে বিদেশি পর্যটকরা আকৃষ্ট হয়ে দেশে ভ্রমণ করতে আসেন।

গতকাল নগরের দি প্যানিনসুলা চিটাগং হোটেলের জিনিয়া হলে তিনদিনব্যাপী ১৩তম আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, অভ্যন্তরীণ পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ করতে কাজ চলছে। এর অংশ হিসেবে দেশব্যাপী পরিচালিত অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি চট্টগ্রাম অঞ্চলের কক্সবাজারের সাবরাং নাফ ও সোনাদিয়াতে তিনটি পর্যটন পার্ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

বিমানবন্দরসমূহের আধুনীকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন টার্মিনাল নির্মাণ, পুরনো টার্মিনাল সংস্কার, যশোর সৈয়দপুর কক্সবাজার প্রভৃতি বিমানবন্দরকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে।

বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান ইকবাল, এয়ার এস্ট্রার প্রধান নির্বাহী ইমরান আসিফ, ইউএস বাংলার ম্যানেজার কামরুল ইসলাম, ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের মার্কেটিং প্রধান আ্যানা মে ডিয়াল বক্তব্য দেন।

তিনদিনব্যাপী এবারের মেলায় টাইটেল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে নতুন এয়ারলাইন এয়ার এস্ট্রা। মেলায় বিদেশি ৬টি প্রতিষ্ঠানসহ ৩৫টি স্টল স্থান পেয়েছে। ভিজিটরদের জন্য আকর্ষণীয় র‌্যাফেল ড্রর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সবার জন্য উম্মুক্ত এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। আগামী ৭ জানুয়ারি এ মেলা শেষ হবে।