দুই বিভাগেই শেষ চারে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের ছেলে-মেয়েরা

ফাইনালে উঠার লড়াই আজ

নিজস্ব ক্রীড়া প্রতিবেদক  »
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (অনূর্ধ্ব-১৭) বিভাগীয় পর্যায়ের দুই বিভাগেই সেমিফাইনালের টিকেট পেয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম জেলার ছেলে-মেয়েরা। আজ ২২ আগস্ট ফাইনালে উঠার জন্য চট্টগ্রামের ছেলেরা কক্সবাজার (সকাল সাড়ে নয়টায়) ও মেয়েরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া (সকাল ১১টায়) জেলার বিরুদ্ধে খেলবে। আর মহানগর একাদশের ছেলেরা রাঙামাটির (বিকেল সাড়ে চারটায়) ও মেয়েরা খাগড়াছড়ির (বিকেল ৩টায়) বিরুদ্ধে খেলবে।
গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালে দুপুরে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে চট্টগ্রাম মহানগর ২-০ গোলে বান্দরবান জেলাকে পরাজিত করে। বিজয়ী দলের শারমিন ও রুমি গোল করেন। বিকেলে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে চট্টগ্রাম জেলার ছেলেরা বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই বান্দরবান জেলাকে ২-১ গোলে পরাস্ত করে। বিজয়ী দলের তামজিদ ও মেহেদী হাসান ১টি করে গোল করেন। শুরু থেকে দুই শক্তিশালী এ দলের খেলা সমানতালে চলেছে। ৮ মিনিটে প্রত্যাশিত গোল পেয়ে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম। নিঁখুত এক আক্রমণ থেকে বড় ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে তামজিদ দর্শনীয় শটে প্রতিপক্ষ কিপারকে কাবু করেন। পিছিয়ে থেকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ করতে থাকে বান্দরবান, কিন্তু চট্টগ্রামের ডিফেন্ডারদের প্রতিরোধে তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এরমধ্যে এ অর্ধের ২৯ মিনিটে দ্বিতীয় দফা হলুদ কার্ড পেয়ে চট্টগ্রামের নির্ভরযোগ্য ফরোয়ার্ড সাকিবুলকে মাঠ ছাড়তে হয়। এ সুযোগে বান্দরবান গোলের সুযোগ করতে থাকে। এরমধ্যে প্রথমার্ধের শেষ দিকে একক প্রচেষ্টায় ডান দিকে বক্সে টুকে মেহেদী হাসান আড়াআড়ি শটে বল জালে পাঠালে চট্টগ্রাম ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে চট্টগ্রামের ছেলেরা ১০জন নিয়েও গোলের সুযোগ করতে সচেষ্ট হলেও বল আর জালে পাঠাতে পারেনি। এ অর্ধের ২৮ মিনিটে বান্দরবান এক গোল পরিশোধ করলে বাকি সময় চট্টগ্রামের সর্তক অবস্থানের জন্য জয় নিশ্চিত হয়। এর আগে সকালে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে চাঁদপুর জেলা ৩-০ গোলে পরাজিত করে খাগড়াছড়ি জেলা। বিজয়ী দলের মামু চিং, কিতিং ও উমিয়া মার্মা ১টি করে গোল করেন। জেসমিন ও সাদিয়া করেন ১টি করে গোল। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে চাঁদপুর জেলাকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে রাঙামাটি জেলাও সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে। নির্ধারিত সময়ে এ খেলা ২-২ গোলে ড্র ছিল। এ সময় রাঙামাটির ইমন ও অন্তু এবং চাঁদপুরের জিশান ও ওমর ফারুক গোল করেন।