দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬০ গ্রামে ঈদুল আজহা শুক্রবার

সংবাদদাতা, চন্দনাইশ :

চন্দনাইশসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রায় ৬০ গ্রামে আগামীকাল শুক্রবার উদ্যাপিত হবে ঈদুল আজহা।

সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরিফ ও চন্দনাইশ জাহাঁগিরিয়া শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও একদিন আগে পশু কোরবানি দেবেন।

জানা গেছে, সুফি সাধক মাওলানা মোখলেছুর রহমান (র.) ২শ’ বছর আগে এ নিয়ম প্রবর্তন করেন। এরপর থেকে দরবারের মুরিদরা একদিন আগে থেকে রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপন করে আসছেন। ইতোমধ্যে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় ও কোরবানির জন্য প্রস্তুতি শেষ করেছে দরবার শরিফ কর্তৃপক্ষ।

সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরিফের সৈয়্যদ মাওলানা আবদুর রহমান শাহ জাহাঁগিরী ও চন্দনাইশ কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবারের শাহজাদা মাওলানা মো. মতি মিয়া মনসুর জানান, আমরা হানাফী মাযহাবের অনুসারী হিসেবে সৌদি আরবের মক্কা ও মদীনা শরিফে তথা আরব বিশ্বে চাঁদ দেখার সাথে মিল রেখে সুফি সাধক মাওলানা মোখলেসুর রহমানের দেখানো পথ অনুসরণ করে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে আসছি।

এ উপলক্ষে শুক্রবার দরবারের সাজ্জাদানশিন আল্লামা শাহসুফি সৈয়্যদ মো. আলীর ইমামতিতে ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া সাতকানিয়া দরবার শরিফের সাজ্জাদানশীন সৈয়্যদ মাওলানা আবদুল হামিদ শাহ’র জাহাঁগিরী (নুরুল আরেফিন) ইমামতিতে মির্জাখীল দরবার শরিফে সকালে ও সাজ্জাদানশীন মাওলানা মাকসুদুর রহমানের ইমামতিতে একই দরবারে ২য় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফ ও সাতকানিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরা দক্ষিণ চট্টগ্রামের যেসব গ্রামে ঈ দুল আজহা পালন করবেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে চন্দনাইশ পৌরসভার বুলার তালুক, হরিনার পাড়া, ফকির পাড়া, সর্বল কাজী বাড়ি, চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর, হারলা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারি, জামিজুরি, পশ্চিম এলাহাবাদ, উত্তর কাঞননগর, জুনিঘোনা, আব্বাসপাড়া, মাঝের পাড়া, দিঘির পাড়া, কুন্দুপাড়া, কেশুয়া, মোহাম্মদপুর, উত্তর হাশিমপুর, ছৈয়দাবাদ, খুনিয়ারপাড়া, শ্রীমাই, রুপকানিয়া, জলদী, শুনাগরি, কালিপুর, গন্ডামারার, মিরিঞ্জিরতলা, ছনুয়া, সাধনপুর, তৈলারদ্বীপ, বাথুয়া, বারখাইন, চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, বড়হাতিয়া, চুনতি, পুটিবিলা, উত্তর সুখছড়ি, বাংলাবাজার, মইশামুড়া, খোয়াছপাড়া, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, গাটিয়াডাঙ্গা, পুরানগড়, মনেয়াবাদ।

এ ছাড়া বোয়ালখালী, হাটাহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, হাতিয়া, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, বরিশাল, নরসিংদি, কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় যেখানে মির্জাখীল ও জাহাঁগিরিয়া দরবার শরিফের অনুসারী রয়েছে তারাও এদিন ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করবেন এবং পশু কোরবানি দেবেন।

এছাড়া এ বছর করোনা ভাইরাসজনিত কারণে সরকারের বেঁধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মানতে সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরিফ ও চন্দনাইশের জাঁহাগিরিয়া দরবার শরিফে ঈদের নামাজে শরিক না হওয়ায় জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অনুসারীদের যার যার এলাকায় ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করার জন্য বলা হয়েছে।