তিন ফসলি জমিতে কোনো শিল্প-কারাখানা নয় : ভূমিমন্ত্রী

সুপ্রভাত ডেস্ক »

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন ফসলি জমিতে কোনো শিল্প-কারাখানা স্থাপন না করার আহ্বান জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। গতকাল শনিবার ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণ এবং বাংলাদেশের টেকসই নগরায়ণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার। খবর ঢাকাপোস্টের।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, মেট্রোরেলের অবকাঠামোর সম্প্রসারণ আরও ১০-১৫ বছর চলমান থাকবে, ফলে যানজট কমবে এবং নগরবাসী উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা উপভোগ করবেন। রাজধানীর ঢাকার উপশহরগুলোকে আরও উপযোগী করার জন্য সরকার নিরসলভাবে কাজ করছে। বর্তমান সরকার অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন ও শিল্পায়নে জোরারোপ করার কারণে আমাদের অর্থনীতিতে গতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাস ও সরকারী কার্যক্রম স্বচ্ছতা এবং সুশাসন নিশ্চিতকল্পে সরকার কাজ করছে। সিটি জরিপে কিছু ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে, তবে ডিজিটাল সার্ভে গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে, যা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সম্পন্ন হলে দেশবাসী আধুনিক সেবা সুবিধা পাবেন।

মন্ত্রী বলেন, তিন ফসলি জমিতে কোন শিল্প-কারাখানা নয়, কারণ আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে দুই ফসলি জমিতেও শিল্প কারখানা স্থাপন না করার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানাই।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, ড্যাপের পুরোপুরি সংশোধন না করে, ব্যবসায়ীদের যেন হয়রানি না করা হয়, সে ব্যাপারে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। ফ্ল্যাট ও জমি রেজিস্ট্রেশনে করারোপের কারণে জমি ও ফ্ল্যাট বিক্রি বেশ কমে গেছে, তবে বিষয়টি নিয়ে এনবিআর কাজ করছে, আশা করি সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, গ্রাম উন্নয়নে শুধুমাত্র প্রকল্প গ্রহণ করলেই হবে না, জীবনযাপনে সকল প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকা- বিস্তার করতে হবে, যেন গ্রামের মানুষ আর্থিকভাবে সক্ষম হয়। ইকোনোমিক জোনের আশেপাশের জায়গায় শ্রমিকদের বাসস্থান তৈরিতে সরকার কাজ করছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ কৃষি জমি সুরক্ষা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, আমাদের ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য দেশের জলবায়ু, নদী মারাত্মকভাবে দূষণ করছে, যার প্রতি আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।