তিনটি টিকাই পারে কোনও কোনও রোগীকে নিরাপত্তা দিতে, বলছে সমীক্ষা

দু’টি নয়, এ বার কি দরকার হতে পারে তিনটি টিকার?

সুপ্রভাত ডেস্ক »

অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে এমন মানুষ বা ক্যানসার আক্রান্তদের কোভিডের টিকা কতটা নিরাপত্তা দিতে পারবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। দেখা গিয়েছিল, এই সব রোগীদের বড় অংশের শরীরেই পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছিল না টিকার ২টি টিকা নেওয়ার পরেও। কিন্তু এ বার সে ক্ষেত্রেও আশার আলো! হালের গবেষণা বলছে, এই সব রোগীদের ক্ষেত্রে ২টির বদলে টিকার ৩টি টিকা দারুণ কাজের হয়ে উঠতে পারে।

যাঁদের অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে, হালে তাঁদের নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছেন জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। তাঁদের শরীরে করোনা টিকার প্রভাব কেমন হয়, তা তাঁরা দেখেছেন। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৩ ভাগের ১ ভাগ রোগীর শরীরে টিকার ২টি টিকার পরেও কোনও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। ৩ ভাগের ১ ভাগ রোগীর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হলেও তার পরিমাণ অতি সামান্য। গবেষক দলের সদস্য ডোরি সেগেভ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘এমনটা ধরে নেওয়ার অর্থ নেই, ২টি টিকার পরেও অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না মানে, জীবন শেষ!’’

তাঁর এই বক্তব্যের পিছনে যুক্তি রয়েছে। কারণ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে এই সব রোগীদের ২টির বদলে টিকার ৩টি টিকা দিলেই অ্যান্টিবডির পরিমাণ বাড়ছে।

তবে এই ৩ টিকার পদ্ধতি এখনও স্বীকৃত নয়। ডোরি-র কথাতেই, এই বিষয়টি নিয়ে দ্রুত কাজ হচ্ছে। আগামী দিনে বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। তবে তার আগে এই ধরনের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের জন্য কয়েকটি পরামর্শ দিচ্ছেন জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। সেগুলি হল—

১। পরিবারের বাকিদের ক্ষেত্রে টিকার টিকা যে ভাবে কাজ করছে, এই সব রোগীদের ক্ষেত্রে তা হবে না। এমন একটা মানসিক প্রস্তুতি গোড়া থেকেই রাখুন।

২। টিকা নিয়েছি বলে এ বার সম্পূর্ণ নিরাপদ— এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। বরং আগে যেমন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছিলেন, তেমনই চলুন।

৩। এই ধরনের বহু রোগীকেই সুস্থ থাকতে আরও নানা ধরনের টিকা নিতে হয়। তাই কোভিডের টিকা নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শে কয়েকটি রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিন।

অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে এমন মানুষ বা ক্যানসার আক্রান্তদের জন্য আগামী দিনে কোভিড টিকায় কিছুটা রদবদল আসতে পারে। তাঁদের সফল টিকাকরণের দিকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে গবেষণা। এই সমীক্ষা তেমনই আশার আলো দেখাচ্ছে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা