তালকাচারী অথবা শিবু কুমার শীলের প্রথম গান!

সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »

শুকনো খালের মতো স্থির হয়ে আছে বাংলা ব্যান্ড মিউজিক। তবু যে দু-একটি গান কিংবা নাম আজও মিষ্টি আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে অথবা তাপদাহে ঝরিয়ে দিচ্ছে স্বস্তির বৃষ্টি—তার মধ্যে আজও অনেকটাই এগিয়ে ‘মেঘদল’।
দলটি ১৮ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সংখ্যায় কম অথচ গভীর অনুভূতি নিয়ে সৃষ্টি করে চলেছে সময় ও সমাজ ভাবনার অসাধারণ সব গান। দলটির অন্যতম দুই ক্রিয়েটর হিসেবে আছেন শিবু কুমার শীল ও আমজাদ হোসেন। একজন কথা ও কণ্ঠে, অন্যজন সুর ও সংগীতে। এবারই প্রথম দলের বাইরে দাঁড়িয়ে দু’জনে গড়লেন একটি বিশেষ গান। নাম দিয়েছেন ‘কে ডেকে যায়’।
গানটির কথা লিখেছেন যৌথভাবে শিবু কুমার শীল ও মাহী ফ্লোরা। কণ্ঠ ও ভিডিও নির্মাণে যথারীতি শিবু নিজেই। আর সেটির সুর-সংগীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন। প্রযোজনাও তারই, মানে তালকাচারী।
সুরকার আমজাদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গানটির সুর করেছি বেশ আগেই। কিন্তু গাইবার মতো শিল্পী খুঁজে পাচ্ছিলাম না। যতবার অন্যদের কথা ভাবি, ততবারই ভেতরে আসে শিবু কুমার শীল! অথচ দলের বাইরে তিনি কখনও গায়নি। সেটা দলকে ভালোবেসেই। কিন্তু এই গানটি গাইতে হলো তাকেই। এখনও আমার বিশ্বাস হয়, তাকে ছাড়া অন্য কাউকে দিয়ে গাওয়ানো সম্ভব ছিল না এটি।’
প্রযোজক আমজাদ হোসেন জানান, তার প্রতিষ্ঠান তালকাচারীর এটি প্রথম মৌলিক কোনও সিঙ্গেল। এর আগে বিভিন্ন শিল্পীকে দিয়ে অনেক কাভার গান করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তার প্রত্যাশা, ‘কে ডেকে যায়’ গানটির মাধ্যমে তালকাচারী মৌলিক প্রযোজনার খাতায় নাম লেখাতে যাচ্ছে। এরপর নিয়মিতই মৌলিক গান প্রকাশ হবে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে।
অন্যদিকে ‘কে ডেকে যায়’ গানটি দলের বাইরে এসে শিবু কুমার শীলের প্রথম একক গান। যদিও এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দলের অন্য সদস্যরাও। যেমন, এই গানে ব্যাঞ্জো ও ক্লারিনেট বাজিয়েছেন মেঘদলের অন্য দুই সদস্য এম জি কিবরিয়া ও সৌরভ সরকার।
গানটি প্রসঙ্গে শিবুর প্রতিক্রিয়া এমন, ‘এটি মূলত চিরকালীন প্রেমানুভূতির গান। এই মহামারির দিনগুলোতে সেই প্রেম আরও বিষাদ ও নিঃসঙ্গতার স্মারক হয়ে উঠেছে গানটির কথা ও সুরে।’
আগামী ২ সেপ্টেম্বর তালকাচারীর ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ হচ্ছে।
শিবু কুমার শীল, মেজবাউর রহমান সুমন ও মাসুদ হাসান উজ্জ্বল- এই তিন বন্ধু পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। তাদের বন্ধুত্বের রেশ ধরেই ‘মেঘদল’-এর জন্ম। যদিও মাসুদ হাসান উজ্জ্বল দল থেকে বেরিয়ে ব্যস্ত হয়েছেন নির্মাণে। বাকিরা এখনও অনড়।
২০০৪ সালে প্রকাশ হয় দলটির প্রথম অ্যালবাম ‘দ্রোহের মন্ত্রে ভালোবাসা’। এরপর ‘শহরবন্দি’, ‘নিয়ন আলোয় স্বাগতম’-সহ বেশক’টি অ্যালবাম ও সিঙ্গেল প্রকাশ হয় দলটির। যার প্রায় সবক’টি প্রশংসিত হয়।