‘তড়িৎ প্রকৌশলে পৃথিবী ক্রমশ এগিয়ে চলেছে’

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের বিদায়-বরণ

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়ার কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। ৩০ নভেম্বর সকালে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক এবং প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির প্রক্টর আহমদ রাজীব চৌধুরী। বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সূচনা ঘটে। বিরাট অংকের অর্থ ব্যয় করে অনেক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে এই বিভাগের উদ্বোধন করা হয়। তড়িৎ প্রকৌশল বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যার মাধ্যমে পৃথিবী ক্রমশ এগিয়ে চলেছে।

তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লবের শুরু হয় বিদ্যুৎশক্তির আবিষ্কারের মাধ্যমে। বিদ্যুৎশক্তি বর্তমান বিশ্বের অভাবনীয় নাগরিকীকরণ ও উন্নয়নের প্রধান মাধ্যম। অষ্টাদশ শতকে বিশ্বে সক্রেটিস এলে, একটি গল্পে আছে, সেই বিশ্ব তাঁকে অবাক করতো না। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের অভাবনীয় উন্নয়ন ও শিল্প-ঐশ্বর্যে তিনি অবাক হতেন।

ড. অনুপম সেন ‘বিদ্যুৎ ছাড়া পৃথিবীর অগ্রযাত্রা অসম্ভব’ উল্লেখ করে বলেন, বিশ শতকের সত্তর দশকের শুরুতে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে আরব দেশগুলো জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করেছিল। ফলে উন্নত দেশগুলোসহ অনেক দেশে বিদ্যুৎঘাটতি দেখা দেয় এবং বিশ্বজুড়ে একই সঙ্গে মন্দা ও মূল্যস্ফীতি ঘটে। তখন বাংলাদেশে ক্ষমতায় ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি অত্যন্ত দূরদর্শিতার সঙ্গে বাংলাদেশে এই সংকটের মোকাবিলা করেন; এমনকি শিল্পেও অভাবনীয় উন্নয়ন ঘটান। তাঁর মৃত্যুর ক’বছর পরেও বাংলাদেশের শিল্পে এমন উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হয়নি।

তিনি ফিউশান এনার্জি নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। তিনি ‘বর্তমান বিশ্ব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্ব’ উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়েছে। বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে সম্মান দেয়, মর্যাদা দেয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে ধারণ করে বাংলাদেশ ক্রমশ এগিয়ে যাবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা বলেন, ৪র্র্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগকে ব্যবহার করতে হলে শিক্ষাজীবনে প্রকৌশলের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, বিশ্লেলষণাত্মক চিন্তাশক্তি, সফট স্কিল বৃদ্ধির দিকে শিক্ষার্থীদের জোর দিতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক বলেন, সবধরনের উন্নয়নের মূলে মানবিকতা। মানুষ যদি প্রকৃত মানুষ না হয়, সোনার মানুষ না হয়, মানবিক না হয়, বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা খুবই কঠিন হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রকৌশল ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ বিদায়ী শিক্ষার্থীদের বলেন, জীবনযুদ্ধ ও প্রফেশনাল লাইফে প্রবেশের জন্য তোমরা বিদায় নিচ্ছো। সুতরাং তোমাদের এই বিদায় আসলে একটি সংবর্ধনা। বিজ্ঞপ্তি