টার্মিনাল পরিচালনায় দেশীয় প্রতিষ্ঠানকেও সুযোগ দেওয়া দরকার

চিটাগং চেম্বার প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ

সুপ্রভাত বাংলাদেশ: চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া চরে কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করছে মার্স্কলাইন। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?

ওমর হাজ্জাজ: এটি অনেক বড় সংবাদ। মার্স্কলাইনের মতো এতো বিশাল একটা কোম্পানি চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে, এটা সবার জন্যই সুখবর। এজন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে, তারা যেন দেশীয় প্রতিষ্ঠানকেও যোগ্যতা বিবেচনা করে এ ধরনের বিনিয়োগে সুযোগ দেয়। মার্স্কলাইন শিপিং প্রতিষ্ঠান হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৮৪টি বন্দর তারা অপারেট করে। তাদের কাজে অনেককিছু শিক্ষনীয় থাকবে।

সুপ্রভাত: প্রাইভেট অপারেটর নিয়োগে চট্টগ্রাম বন্দর কতটুকু গতিশীল হবে বলে মনে করেন?

ওমর হাজ্জাজ: বিশ্বের প্রায় সব উন্নত বন্দর প্রাইভেট অপারেটরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। প্রাইভেট অপারেটররা যত বেশি কাজ করবে, ততবেশি তাদের লাভ হবে। তাই তারা দ্রুততার সঙ্গে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ করবে। এতে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের প্রয়োজনের বেশি সময় আটকে থাকতে হবে না। এরমধ্যে কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের তথ্য ওয়েবসাইটে থাকলেও কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের কোনো তথ্য থাকে না। এ সফটওয়ারটি বন্দরের ডেভলপ করা প্রয়োজন। এছাড়া কাস্টমসের কারণে যে অতিরিক্ত সময় লাগে তাতে বাড়তি ডিউটি ফি বাবদ আমদানিকারকদের ব্যয় হয়। এতে পণ্যের দামেও প্রভাব পড়ে। কিন্তু প্রাইভেট অপারেটররা এসব প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কাজ করবে।

সুপ্রভাত: বে-টার্মিনাল ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে কী ভাবছেন?

ওমর হাজ্জাজ: বে-টার্মিনাল তো দীর্ঘদিনের দাবি। কিন্তু বে-টার্মিনাল প্রকল্পের খুব একটা অগ্রগতি আমরা দেখিনি। অন্যদিকে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প ওখানের কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য অনেকটুকু এগিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সরকারের সিদ্ধান্ত। তবে আমার মনে হয়, বে-টার্মিনাল প্রকল্পটি আরও আগে শুরু করলে ভালো হতো। কেননা এ টার্মিনালের সংযোগ সড়ক আছে। বড় বড় লরিগুলো কনটেইনার ও কার্গো নিয়ে শহরের বাইরের রাস্তা নিয়ে চলে যেতে পারবে। রাস্তাগুলোও বেশ প্রশস্ত করা হয়েছে। সেই তুলনায় মাতারবাড়ি বন্দরের সঙ্গে কানেক্টিং রাস্তা এখনও কনটেইনার ও কার্গো পরিবহনে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য করা হয়নি। বিশেষ করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক চার লেন করা প্রয়োজন। পটিয়া অংশে রাস্তাও ভালো না। যদি বাঁশখালী দিয়ে কোনো রাস্তা করা হতো, তাহলে অনেক ভালো হতো।