জোয়ারের নয়, বৃষ্টির পানিতে ডুবছে খাতুনগঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক >
জোয়ারে ভেসে যায় খাতুনগঞ্জ। চট্টগ্রামে এমন একটি কথা চালু থাকলেও এ ধারণা পাল্টে দিয়েছে বর্ষা শুরুর পূর্বের বৃষ্টি। কানায় কানায় জলে ভরে উঠেছে খাতুনগঞ্জসহ টেরিবাজার। প্রথম ধাক্কায় ছোট ক্ষতি দিয়ে শুরু হলেও বর্ষায় বড় ক্ষতির আশঙ্কায় ভুগছেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল রোববার সারাদিন ভারী ও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় হাঁটুজল জমে দেশের ভোগ্যপণ্যের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চাকতাই, আছাদগঞ্জ ও খাতুনগঞ্জে ব্যবসা বন্ধ ছিল। পানির কারণে ক্রেতারা বাজারে ঢুকতে না পারেনি। একদিনের বৃষ্টিতে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে।
অন্যদিকে টেরিবাজারে দশটির বেশি মার্কেটে জলজট সৃষ্টি হয়েছে। তবে এসবের জন্য সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ভারী বর্ষণের কারণে পিতাম্বর শাহ্ পাশারি দোকানসহ আশপাশের প্রায় এলাকায় জলজট সৃষ্টি হয়। এতে ব্যবসায়ীরা বেকার সময় পার করেন। দিনমজুরেরা আড্ডায় মগ্ন থাকে। অন্যদিকে পাইকারি মার্কেট টেরিবাজারের বিভিন্ন মার্কেটে জলজটের সৃষ্টি হয়।
দেখা যায় জনতা মার্কেট, ছমদিয়া মার্কেট, শহবাগ মার্কেট, খাজা মার্কেট, শাহ আমানত মার্কেট, গাইছয়া মার্কেট, বদরপুকুর মার্কেট, মক্কা প্লাজা, মা ম্যানশন, কবির মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
খাতুনগঞ্জের দিনমজুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় আজকে ক্রেতা নেই। তাই বেকার সময় পার করছি। নালা নর্দমাগুলো পরিষ্কার না থাকায় এ জলজট সৃষ্টি হয়েছে। তবে এমন হলে বর্ষায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।’
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী কামরুল হোসাইন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে পানি জমে গেছে। হাতে যে অল্প সময় আছে এ সময়ের মধ্যে নালা নর্দমা পরিষ্কার করতে হবে। বর্ষায় মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।’
জলজটের কারণ জানতে চাইলে টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান সুপ্রভাতকে বলেন, ‘ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুর লাল হাজারিকে বারবার অনুরোধ করে বলার পরেও তিনি নালা নর্দমাগুলো পরিষ্কার করেননি। যার ফলে বৃষ্টির পানিতে টেরিবাজারে ১শ’র বেশি দোকানের মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সকালে দোকান খোলার আগেই দোকানে গোডাউনে পানি ঢুকে গেছে। প্রতি বছর বর্ষায় তাদের অবহেলায় আমাদের ক্ষতিগুলো হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতবছর টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে বদরখাল পরিষ্কার করা হয়েছিল। এতে সিটি করপোরেশন কোন সহযোগিতা করেনি। এ অবস্থার জন্য সিডিএ দুষছেন সিটি করপোরেশনকে, আবার সিটি করপোরেশন দুষছেন সিডিএ’কে। তাদের এমন খামখেয়ালিপনায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।’