‘জিয়াউর রহমান নামে মুক্তিযোদ্ধা, মনে ছিলেন পাকিস্তানি’

কক্সবাজারে মাহবুব উল আলম হানিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে আর দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি দেশকে অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আর ‘জিয়াউর রহমান নামে মুক্তিযোদ্ধা, মনে ছিলেন পাকিস্তানি’। তিনি কোথাও যুদ্ধ করেছেন বলে প্রমাণ নেই। সিলেট অঞ্চলে যুদ্ধ করার বিএনপি যে ইতিহাস বলে তার প্রমাণ নেই। বরং বিভিন্ন দালিলিক তথ্যে প্রমাণ মিলেছে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট। তিনি ছিলেন রাজাকারের দোসর। সে কারণে ক্ষমতায় গিয়ে রাজাকার ও স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছিলেন। শীর্ষ রাজাকারদের বানিয়েছিলেন এমপি-মন্ত্রী।
গতকাল বুধবার সকালে শহরের জারা কনভেনশন সেন্টারে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক, এ সম্পর্ক চিরকালের। ইচ্ছে করলেই কেউ তা মুছে ফেলতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে যারা নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করেছিলো বরং তারাই নিশ্চিহ্ন হয়েছে। জনগণ তাদেরকেই ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। তিনি বলেন, দেশ বিরোধীরা কারসাজি করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেশে সংকট তৈরির অপচেষ্টা করছে। বিএনপি যোগসাজস করে এই অপচেষ্টা করছে। তাই কোথাও কোনো দ্রব্যের অতিরিক্ত মূল্য নিলে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মাহববুবুল আলম হানিফ।
হানিফ বলেন, আজকের বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। আমাদেরকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে টিকে থাকতে হবে। আর এ লক্ষ্যে আমাদেরকে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আত্মমর্যাদার সাথে আরো সামনে এগিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি, একটি বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে হবে।’
সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘দেশে করোনা ভাইরাসের বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর সাংগঠনিক কার্যক্রমে আরো বেশি গতিশীলতা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে এবং তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে নতুনভাবে গোছানোর জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিনিধি সভা করার নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এর ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের প্রাণ তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে এই আয়োজন। আশা করছি এই সভার মাধ্যমে কক্সবাজারে আওয়ামী লীগ আরও সুসংগঠিত, শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ হবে।
পরে সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, জাফর আলম এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, শাহিন আক্তার এমপি, কানিজ ফাতেমা আহমেদ মোস্তাক এমপি ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ।
সভায় জেলার বিভিন্ন ইউনিটের ৩ হাজার প্রতিনিধি অংশ নেন।