জাল টাকা তৈরির কারবারিরা সক্রিয়

ছড়াছড়ি বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে

কক্সবাজার

ছড়াছড়ি বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
কক্সবাজার জেলা সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে জাল টাকার ছড়াছড়ি হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে এ জাল নোট তৈরির কারবারি ও পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

প্রতিদিনই এসব জাল টাকা ধরা পড়ছে হাটবাজারগুলোতে। বিশেষ করে গ্রামের হাটবাজার ও রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বাজারগুলো এসব কারবারি ও পাচারকারীদের টার্গেট। এরা বিভিন্ন কৌশলে এসব টাকা সহজ সরল মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। এসব কারবারিরা ধরাও পড়ছে, জেল জরিমানাও হচ্ছে। আইনের ফাঁকে বের হয়ে আবার একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

জানা গেছে, রোহিঙ্গা শিবিরসহ জেলার বেশ ক’টি স্থানে গড়ে উঠেছে জাল টাকা তৈরির কারখানা। ৩০ মার্চ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা গেটের সামনে রাবেয়া এন্টারপ্রাইজ নামক কম্পিউটার দোকান থেকে র‌্যাব-৭ অভিযান চালিয়ে ১৬ লাখ জাল টাকা উদ্ধার ও জাল টাকা তৈরির মূলহোতা মিজানসহ তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করে। তারা হলো, বড়ঘোপ ইউপির মনোহরখালী এলাকার হাফেজ শহীদ উল্ল্যাহর ছেলে জাল টাকা তৈরির সিন্ডিকেটের মূলহোতা সাঈফ উদ্দিন আহম্মদ প্রকাশ মিজান (২৫), তার দুই ভাই উপজেলা পরিষদের সচিব মেজবাহ উদ্দিন আহম্মদ (৩২) ও মো. জিয়া উদ্দিন (২১) এবং কৈয়ারবিল ইউপির নজর আলী মাতবর পাড়া এলাকার ওমর আলী ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২)। পরে তাদের ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে গত বছরও র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-১৫ উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে বেশ ক’বার অভিযান চালিয়ে জাল নোট তৈরির কারিগর, তাদের সরঞ্জামসহ পাচারকারী ধরতে সক্ষম হয়েছে।

আরো জানা গেছে, পাচারকারী সিন্ডিকেটটি বেশিরভাগ ব্যবহার করে শিশু-কিশোরদের। শিশু ও কিশোরদের দিয়ে তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহের জন্য ক্রেতা সেজে বাজারে পাঠায়। শিশু ও কিশোরদের টাকা সহজ সরল ব্যবসায়ীরা তেমন একটা খেয়াল না করে দ্রব্যসামগ্রী দিয়ে দেয়। পরে এসব টাকা হাতবদল কিংবা ব্যাংকে গেলে ধরা পড়ে। যার ফলে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিদিন জাল টাকার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে। এছাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে ১ লাখ টাকার জাল নোট আসল টাকায় বিক্রি হয় ২০/২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে। জাল নোটগুলো কিনে নিয়ে তারা বিভিন্ন হাটবাজারে ঢুকিয়ে দেয়। আবার অনেকেই বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে চোরাকারবারে নানা পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে ব্যবহার করছে। বহু জাল নোট মিয়ানমারেও চলে গেছে।

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, গোয়েন্দা নজর বাড়ানো হলে এবং পাচারকারীরা ধরা পড়লে সহজে জেল থেকে বের হতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখলে জাল টাকার ছড়াছড়ি বন্ধ হয়ে যাবে।